গোলের পর উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। ছবি: সমাজমাধ্যম।
ছন্দে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও ডায়মন্ড হারবার এফসি। কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের শুরুটা ভাল করল তারা। দু’দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেল। ইস্টবেঙ্গল ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেড কলকাতাকে। অপর ম্যাচে সুরুচি সংঘকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার।
চলতি লিগে প্রথম বার ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। চোটের কারণে খেলেননি শৌভিক চক্রবর্তী। ছিলেন না দেবজিৎ মজুমদার, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। তাতে সমস্যা হল না বিনো জর্জের ছেলেদের। প্রথমার্ধে দু’দলই আক্রমণ করছিল। ২৯ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেড কলকাতাকে এগিয়ে দিতে পারতেন সমীর বায়েন। তাঁর শট বাঁচিয়ে দেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক।
৩৬ মিনিটের মাথায় ডেভিডের দেওয়া পাস থেকে গোল করার সুযোগ পান পিভি বিষ্ণু। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। ৩৯ মিনিটে সুযোগ হারান আমন সিকে। কিন্তু গোলশূন্য শেষ হয়নি প্রথমার্ধ। বিরতির ঠিক আগে আমনের ভাসানো বল থেকে গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন নসিব রহমান।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার রাশ নিজেদের কাছেই রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। ৪৮ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে দুরন্ত গোল করেন বিষ্ণু। ইস্টবেঙ্গলের একের পর এক আক্রমণে দিশাহারা দেখাচ্ছিল ইউনাইটেড কলকাতার রক্ষণকে। ৬৮ মিনিটে দলের তৃতীয় গোল করেন গুইতে। তার পর আর গোল হয়নি। ৩-০ গোলে জেতে ইস্টবেঙ্গল।
সুপার সিক্সের অপর ম্যাচে সুরুচির বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছে ডায়মন্ড হারবার। ১৬ মিনিটের মাথায় অভিষেকের ক্লাবকে এগিয়ে দেন শৈবোরলাং খার্পন। প্রথমার্ধে আরও দু’টি গোল করে তারা। ৩৭ ও ৪০ মিনিটের মাথায় জোড়া গোল তরেন আকিব নবাব। দ্বিতীয়ার্ধে ৭০ মিনিটের মাথায় ডায়মন্ড হারবারের চতুর্থ গোল করেন অমরনাথ বাসক। গোটা ম্যাচে তেমন সুযোগ তৈরিই করতে পারেনি সুরুচি সংঘ। ৪-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার।
সুপার সিক্সে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ডায়মন্ড হারবার। ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে ইউনাইটেড কলকাতা। ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারলেও ১২ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট তাদের। তিন নম্বরে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ১২ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট লাল-হলুদের।