Lionel Messi

ট্রফি পাওয়ার আগেই বিশ্বকাপের স্বাদ নিলেন মেসি! সংযত আবেগে উধাও আগ্রাসন

কাতারে মেসির যে আগ্রাসী মেজাজ দেখা যাচ্ছিল, বিশ্বকাপ জয়ের পর তা আর দেখা গেল না। বরং বেশ শান্ত, ধীরস্থির মনে হল তাঁকে। স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত আত্মস্থ করে মাঠে ডেকে নিলেন পরিবারকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ ০০:১৫
Share:

বিশ্বকাপে আদরের চুম্বন মেসির। ছবি: রয়টার্স

টাইব্রেকারে গঞ্জালো মন্টিয়েলের শট জালে জড়াতেই দু’হাত শূন্যে ছুড়ে দিলেন লিয়োনেল মেসি। পাঁচ বার বিশ্বকাপ খেলে প্রথম বার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেন মেসি। ম্যাচের মধ্যে তাঁকে যতটা আগ্রাসী মনে হচ্ছিল, খেলা শেষে তাঁকে ঠিক যেন ততটাই সংযত দেখাল।

Advertisement

দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন সফল হওয়ার আনন্দে আত্মহারা মেসি একে একে সব সতীর্থকে জড়িয়ে ধরতে শুরু করলেন। বাদ পড়লেন না কোচ, সহকারী কোচ-সহ দলের অন্য সদস্যরাও। এক বার নয়, বার বার সতীর্থদের জড়িয়ে ধরছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার ৩৫ বছরের অধিনায়ক হয়তো আসলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইছিলেন। এ বারও না হলে দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর সুযোগ তিনি আর পেতেন না। সে জন্যই কি আগের ম্যাচগুলো জেতার পর মেসিকে যতটা উত্তেজিত দেখিয়েছিল, রবিবার তেমন দেখাল না তাঁকে? না কি স্বপ্নপূরণের পর নিজেকে সংযত রেখে উপভোগ করতে চাইছিলেন প্রতিটি মুহূর্ত?

বিশ্ব জয়ের পর অনেক ধীরস্থির মনে হল মেসিকে। যেন জানতেন বিশ্বকাপ এ বার তাঁর কাছেই আসছে। দিয়েগো মারাদোনা দেশের তৃতীয় বার বিশ্বজয় দেখতে পারলেন না। মেসি প্রাক্তন কোচের স্বপ্নও পূরণ করলেন। ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতিয়ে ছিলেন মারাদোনা। তার তিন যুগ পর দেশকে তৃতীয় বিশ্বকাপ দিলেন মেসি।

Advertisement

খেলা শেষ হওয়ার পর ফ্রান্সের ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেন। সংযত আবেগে স্বপ্নপূরণের মুহূর্ত আত্মস্থ করে মাঠে ডেকে নিলেন পরিবারকে। তার আগে নিরাপত্তাকর্মীদের অনুমতি নিলেন। স্ত্রী, সন্তানরা মাঠে আসার পর তাঁদেরও জড়িয়ে ধরলেন মেসি। ছেলেদের তুলে নিলেন কোলে। তার মাঝেমাঝে গ্যালারির দর্শকদের অভিবাদনের প্রত্যুত্তর দিলেন।

অধরা বিশ্বকাপ অবশেষে দেশে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। মেসির চোখমুখে ফুটে উঠছিল সেই তৃপ্তি। বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে মেসি বলেছিলেন, মারাদোনাই তাঁদের এগিয়ে দিচ্ছেন। ফাইনালে মেসি নিজেই দু’বার দলকে এগিয়ে দিয়েছেন। গোল করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। গ্যালারির দর্শকদের তাতিয়েছেন। সেই আগ্রাসী মেজাজ ম্যাচের মধ্যেই বেঁধে রেখেছিলেন।

না, তাঁর জবাব দেওয়ার আর কিছু নেই। বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপে দু’বার সোনালি বল জিতলেন। সেই পুরস্কার নিতে গিয়েই বিশ্বকাপের ট্রফি স্পর্শ করে তাতে চুম্বন এঁকে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন এই ট্রফিটা পাওয়ার জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলেন। গোটা বিশ্ব দেখল। দেখালেন মেসি, ট্রফি পাওয়ার আগেই কী ভাবে ট্রফির স্বাদ পেতে হয়!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন