(বাঁ দিকে) ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও লিয়োনেল মেসি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ফুটবলবিশ্বকে দু’ভাগে ভাগ করে দিয়েছেন লিয়োনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। দীর্ঘ দিন দুই তারকা ফুটবল মাঠে মুখোমুখি না হলেও তাঁদের লড়াই নিয়ে এখনও আলোচনা চলে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোকে নিয়ে মুখ খুললেন মেসি। তাঁকে ধন্যবাদ দিয়েছেন লিয়ো। জানিয়েছেন, রোনাল্ডো ছিলেন বলেই তিনি মেসি হতে পেরেছেন।
দুই তারকার ভক্তেরা এখনও দু’জনকে নিয়ে তর্ক জুড়লেও মেসি বা রোনাল্ডো একে অপরের বিপক্ষে কোনও দিন কিছু বলেননি। উল্টে সম্মান জানিয়েছেন। আরও এক বার সেই সম্মানের কথা শোনা গিয়েছে মেসির মুখে। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমাদের দ্বৈরথ লড়াইয়ের থেকে কম ছিল না। তবে ফুটবলের পরিভাষায় বলতে পারি, এই লড়াই খুব সুন্দর ছিল। আমরা একে অপরকে আরও ভাল খেলতে উৎসাহিত করেছি। রোনাল্ডো ছিল বলেই আমি মেসি হতে পেরেছি। ও সব সময় জিততে চাইত। আমিও মাঠে নেমে সেই চেষ্টাই করতাম। আমাদের জন্য খুব ভাল একটা সময় ছিল। ফুটবল সমর্থকদের কাছেও সময়টা সুন্দর ছিল।”
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে তারকা হওয়ার পরে স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন রোনাল্ডো। মেসি শুরু থেকেই ছিলেন বার্সেলোনায়। স্পেনের লিগে শুরু হয় দুই তারকার দ্বৈরথ। লা লিগা, কোপা ডেল রে, স্প্যানিশ সুপার কাপ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই লড়াই। যখনই দুই তারকা মুখোমুখি হতেন, গোটা ফুটবলবিশ্বের নজর থাকত সেই দিকে।
রিয়ালের হয়ে ৪৫১ গোল করেছেন রোনাল্ডো। মেসি বার্সেলোনার হয়ে ৬৭২ গোল করেছেন। ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে গোলের নিরিখে আবার মেসিকে টপকে গিয়েছেন রোনাল্ডো। সব মিলিয়ে ১২৭৭ ম্যাচে রোনাল্ডোর গোলের সংখ্যা ৯৩৪। আর ৬৬ গোল করলেই বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসাবে ১০০০ গোল করবেন সিআর৭। মেসি সব মিলিয়ে ১০৯৯ ম্যাচে ৮৬০ গোল করেছেন। তবে রোনাল্ডোর (২৫৭) থেকে অ্যাসিস্ট বেশি মেসির (৩৮১)। আরও একটি ক্ষেত্রে রোনাল্ডোকে টপকেছেন মেসি। কেরিয়ারে রোনাল্ডোর ট্রফির সংখ্যা ৩৫। মেসি সেখানে কেরিয়ারে ৪৬ ট্রফি জিতেছেন। রোনাল্ডো বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছেন মেসি।
তবে এখন আর বিশ্বকাপ ছাড়া এই দুই তারকার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মেসি এখন খেলেন আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। রোনাল্ডো খেলেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে। ২০২৬ সালে আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ। সেখানে দুই তারকা খেলবেন কি না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। যদি তাঁরা পরের বিশ্বকাপে না খেলেন তা হলে হয়তো আর ফুটবল মাঠে তাঁদের মুখোমুখি দেখা যাবে না।