ক্লাব বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে লিয়োনেল মেসি। ছবি: রয়টার্স।
শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ। নতুন ফরম্যাটে ৩২টি দেশকে নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এ বারের প্রতিযোগিতা। পরের বছরের ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ২০২৮-এর অলিম্পিক্সের মহড়া হিসাবে দেখা হচ্ছে এই প্রতিযোগিতাকে। তবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে সমস্যা।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরোধিতায় প্রতিবাদ চলছে লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ একাধিক বড় শহরে। তার বেশ কয়েকটিতে রয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপের খেলাও। এ ছাড়া, ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য আমেরিকার দরজা বন্ধ করেছেন ট্রাম্প। আগামী দিনে আরও অনেক দেশ সেই তালিকাভুক্ত হতে পারে। এই দেশগুলির ক্রীড়াবিদদের ছাড় দেওয়া হলেও, সমর্থকেরা কী ভাবে খেলা দেখতে আসবেন তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই।
ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজনের মাধ্যমে আমেরিকা প্রশাসন বুঝে নিতে চাইছে, কী ভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক্স সুষ্ঠ ভাবে আয়োজন করা যায়। তবে সে দেশের বিভিন্ন নীতির কারণে প্রতি পদে ঠোক্কর খেতে হচ্ছে। ক্লাব বিশ্বকাপেই অনেকের দেশের সমর্থক আমেরিকায় গিয়ে প্রিয় দলের খেলা দেখতে পাচ্ছেন না। এই নিয়ে বিরোধিতার সুরও উঠেছে।
ফিফা আপাতত আমেরিকার বাজার ধরতে চাইছে। ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনও সেই কারণেই। ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সম্প্রতি দেখা করেছিলেন ট্রাম্পের সঙ্গে। তাঁর দাবি, সমর্থকদের কোনও অসুবিধা হবে না। বাস্তব অবশ্য অন্য কথাই বলছে।
ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে স্পনসরদের মধ্যেও যে আগ্রহ রয়েছে এমন অনেকে। প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম স্পনসর পেয়েছে ফিফা। এক জনের টিকিটে পাঁচ জন খেলা দেখতে পারবেন, এ রকম ‘অফার’ দেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী ২৯টি দিন বলে দেবে, আমেরিকায় ফুটবলের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে কি না।