ভারতের ফুটবল দলের কোচ খালিদ জামিল। ছবি: সমাজমাধ্যম।
এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে ইতিমধ্যেই বিদায় নিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় এসে মোহনবাগানের ফুটবলারদের না নেওয়ার প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্ক বাড়াতে চাইলেন না কোচ খালিদ জামিল। তাঁর কাছে সেই ‘অধ্যায়’ শেষ। যদিও যা যা বলেছেন তাতে বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে দ্রুত আইএসএল শুরু করার আবেদন জানিয়েছেন। এটাও বলে দিয়েছেন, সুনীল ছেত্রী আর জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না।
মার্চে যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন শুভাশিস বসু। তিনি ক্লাবের হয়ে অনেকগুলি ম্যাচ খেলতে পারেননি। তাই কাফা নেশন্স কাপে ফুটবলার ছাড়তে চায়নি মোহনবাগান। নভেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে মোহনবাগানের ফুটবলারদের ডাকেনইনি জামিল। এখন অতীত নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছেন না তিনি।
শনিবার কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে খালিদ বলেন, “ম্যাচ শেষ। ফুটবলারও খেলেনি। অধ্যায় এখানেই শেষ। পরের বার সতর্ক থাকতে হবে। চোট যে কারও হতে পারে। ক্লাবগুলো বলে, ফুটবলারেরা সব সময় দেশের জন্য তৈরি। জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গেলে অনেক কিছুই হতে পারে। চোট তো খেলারই অংশ। আমাদের ইতিবাচক ভাবতে হবে। যে হৃদয় দিয়ে ভারতের হয়ে খেলতে চায় তার খেলা দরকার। সে আইএসএলের হোক বা আই লিগের। যাদের খেলার ইচ্ছা রয়েছে খেলতে হবে।”
খালিদ আরও বলেন, “মোহনবাগানের সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। শেষ ম্যাচের জন্য আমরা একটু আগে প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। আন্তর্জাতিক উইন্ডোর তিন দিন আগে ফুটবলারদের জাতীয় শিবিরে ডেকেছিলাম। কিন্তু মোহনবাগান কাউকে ছাড়েনি। বলেছিল, ১০ নভেম্বর থেকে উইন্ডো শুরু হওয়ার পর ফুটবলার ছাড়া হবে।”
মোহনবাগান অতীতে অভিযোগ করেছিল, শুভাশিসের চোট নিয়ে ঠিক করে তাদের কিছু জানায়নি ফেডারেশন। একই কথা বলা হয়েছিল সাহাল সামাদকে নিয়েও। যদিও নির্দিষ্ট করে কোনও ক্লাবের বিরুদ্ধে যে তাঁর রাগ আছে সেটা মানতে চাইলেন না। খালিদ বলেছেন, “আমরা এ ক্লাব বা বি ক্লাবকে নিয়ে ভাবছি না। ক্লাব দেখে ফুটবলার নির্বাচন করি না। এ বার একটা শক্তিশালী দল গড়তেই হবে।”
সেই দলে কি সুনীল ছেত্রী থাকবেন? খালিদ স্পষ্ট বললেন, “ও আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে না। ও অবসর নিয়েছে।”
খালিদ চাইছেন, রায়ান উইলিয়ামসের মতো বিদেশি ফুটবলার এবং অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের ভারতীয় দলে নেওয়া হোক। তাঁর কথায়, “অনূর্ধ্ব-২৩ দলের আরও ফুটবলারকে জাতীয় দলে নেওয়ার ব্যাপারে ভাবছি। লিগ শুরু হলেই খোঁজা শুরু হবে। বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে কারা খেলতে চায় দেখতে হবে। বেশি পাওয়া গেলে তো খুবই ভাল। ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা ফুটবলার যদি বিদেশে খেলে এবং জাতীয় দলে খেলার জন্য তৈরি থাকে তাকেও ডাকা হবে।”
আইএসএল ঠিক সময়ে শুরু না হওয়ায় দীর্ঘ দিন ম্যাচের বাইরে ফুটবলারেরা। জট কাটছেই না। দ্রুত প্রতিযোগিতা শুরুর আবেদন করেছেন খালিদ। বলেছেন, “কোনও অজুহাত দিতে চাই না। তবে আইএসএল সময়ে শুরু হলে ভাল হত। যত তাড়াতাড়ি শুরু করা যায় ততই ভাল। সকলে পরিশ্রম করছে যাতে ভাল কিছু হয়। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে।”