কলকাতা ডার্বির একটি মুহূর্ত। ছবি: সংগৃহীত।
দুই দলের ফুটবলারেরাই মাথা গরম করলেন। হালকা ধাক্কাধাক্কি হল ফুটবলারদের মধ্যে। তবে খুব বেশি এগোলো না ঝামেলা।
গোল হল না। ড্র করায় সুপার কাপের সেমিফাইনালে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল।
আবার খারাপ খেলছে দুই দল। গোলের সামনে গিয়েও কেউই কাজে লাগাতে পারছে না সুযোগ। পাঁচ মিনিট সংযুক্তি সময় দেওয়া হল।
তিন বদল করলেন মোলিনা। রবসন, পেত্রাতোস এবং টাংরিকে নামালেন। শুরুতেই রবসন গোলের সামনে চলে এসেছিলেন। সেই আক্রমণ কোনও মতে সামলাল ইস্টবেঙ্গল।
লিস্টনের শট আটকে ছিলেন আনোয়ার। তবে বক্সের সামনে ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহনবাগান। লিস্টনের ফ্রিকিক লাগল ওয়ালে। ফিরতি বলও কাজে লাগাতে পারল না মোহনবাগান।
বক্সের ভেতরে বল পেয়েছিলেন হামিদ। সামনে একা বিশাল ছিলেন। তবু সরাসরি তাঁর হাতেই মারলেন হামিদ। বিশাল চাপড় দিয়ে তা গোলের বাইরে বার করে দিলেন। পরের মিনিটেই জয়ের হেড বাঁচালেন বিশাল।
মোহনবাগান আক্রমণ করছে ঠিকই। তবে চেষ্টা করছে লম্বা বলে খেলার। সেই বল ধরার জন্য সামনে কোনও ফুটবলার নেই। একা ম্যাকলারেন সামলাতে পারছেন না। কেন মোলিনা এখনও রবসন, কামিংসদের বসিয়ে রেখেছেন তা অজানা।
সেমিফাইনালে যেতে গেলে জিততেই হবে। তাই দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলছে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গল ব্যস্ত রক্ষণেই।
বাঁ দিক থেকে কঠিন কোণ থেকে শট নিয়েছিলেন মিগুয়েল। বল বাঁচালেন বিশাল। শট গোলে ছিল। বল বেশির ভাগ সময়েই ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের পায়ে।
খেলার বিপরীতে আক্রমণে গিয়েছিল মোহনবাগান। শুভাশিসের পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থাকা আপুইয়ার শট ধরে নিলেন প্রভসুখন।
হেড করতে গিয়ে হামিদ এবং আলবের্তোর সংঘর্ষ। মাঠেই চিকিৎসকেরা এসে শুশ্রূষা করলেন। রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে গিয়ে অহেতুক হলুদ কার্ড দেখলেন মহেশ। আগেই হলুদ কার্ড দেখেছেন মিগুয়েল এবং শুভাশিস।
ডান দিক থেকে ক্রস ভাসিয়েছিলেন ক্রেসপো। বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন মহেশ। তা গোলের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে গেল।
ডান দিকে বাঁ পায়ে বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন মিগুয়েল। উড়ন্ত বলে হেড করেন বিপিন। সেই বল লাগল পোস্টে। গোলে থাকলে বিশালের কিছু করার ছিল না।
যা আক্রমণ করার ইস্টবেঙ্গলই করছে। মোহনবাগান চেষ্টা করছে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার। তারা ঘর গুছিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে।
বল পেয়েছিলেন রশিদ। পাস দিয়েছিলেন হামিদকে। তিনি কোনও সতীর্থকে খুঁজে না পেয়ে নিজেই শট নিয়েছিলেন। তা ধরে নিলেন বিশাল।
ডান দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন মহেশ। লিস্টন তাঁকে আটকান। ইস্টবেঙ্গল ফ্রিকিক চাইলেও রেফারি গোলকিক দিলেন।
শুরুতে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ। অনিরুদ্ধের থেকে বল কেড়ে রাকিপ পাস দেন মিগুয়েলকে। বাঁ পায়ে শট নিয়েছিলেন মিগুয়েল। তা প্রতিহত হল।
বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে রবসনকে কোচিং করিয়েছিলেন অস্কার। এখন দু’জনে প্রতিপক্ষ। ম্যাচ শুরুর আগে পুরনো ছাত্রকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন অস্কার।