কিলিয়ান এমবাপে। ছবি: রয়টার্স।
ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেন কিলিয়ন এমবাপেরা। কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-২ ব্যবধানে হারাল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। অন্য দিকে, বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়েছে প্যারিস সঁ জরমঁ। ফ্রান্সের ক্লাবটির দু’জন লাল কার্ড দেখলেও তাদের জয় পেতে অসুবিধা হয়নি। সেমিফাইনালে এমবাপেকে মাঠে নামতে হবে নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে।
বরুসিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই দাপট ছিল রিয়ালের। সংযুক্ত সময়ের শুরুতেও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল রিয়াল। প্রথমার্ধেই দু’গোল করে তারা। ১০ মিনিটে গঞ্জালো গার্সিয়ার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ২০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আসে ফ্রান গার্সিয়ার পা থেকে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানেই এগিয়ে ছিলেন এমবাপেরা। হার প্রায় নিশ্চিত জেনেও হাল ছাড়েননি বরুসিয়ার ফুটবলারেরা। তারই সুফল মেলে ৯২ মিনিটে। ম্যাক্সিমিলিয়ানের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। এখান থেকেই শুরু হয় নাটক। গোল খাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বৃদ্ধি করে রিয়াল। ৯৪ মিনিটে বাইসাইকেল কিকে গোল করে রিয়ালকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন এমবাপে। তার পরও বাকি ছিল খেলা। ৯৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন রিয়ালের ডিন হুইসেন। ৯৮ মিনিটে পেনাল্টি পায় বরুসিয়া। গোল করতে ভুল করেননি গুইরেসি। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে জিতে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছে গিয়েছেন এমবাপেরা।
শেষ চারের লড়াইয়ে রিয়ালের সামনে পিএসজি। অর্থাৎ নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হবে এমবাপেকে। চুক্তি মতো টাকা না পাওয়ায় দেশের ক্লাবের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করছেন ফরাসি তারকা। ফলে বাড়তি উৎসাহ নিয়ে সেমিফাইনালে নামতে পারেন তিনি। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ৭৭ মিনিট পর্যন্ত কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ৭৮ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন দেশঁর ডোউ। ৮২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন উইলিয়ান পাঞ্চো। ১০ জনের হয়ে যায় পিএসজি। এর পর ৯২ মিনিটে তাদের আরও এক ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন। এ বার মাঠ ছাড়তে হয় লুকাস হার্নান্দেজকে। ন’জনের পিএসজির বিরুদ্ধেও গোল করতে পারেনি জার্মান জায়ান্টেরা। বরং ৯৬ মিনিটে ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে পিএসজির জয় নিশ্চিত করেন উসমান দেম্বেলে।