লিয়োনেল মেসি। —ফাইল চিত্র।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো স্পষ্ট করে দিয়েছেন, অন্তত আরও দু’বছর খেলবেন তিনি। আগামী বছর আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপ। সুতরাং সেখানেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা বেড়েছে। সেই পথেই কি হাঁটছেন লিয়োনেল মেসি? তাঁকেও কি আগামী বছর বিশ্বকাপ খেলতে দেখা যাবে? মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন সতীর্থ নিকোলাস ওটামেন্ডি।
দেশের হয়ে ২০২২ সালে একসঙ্গে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মেসি ও ওটামেন্ডি। সম্প্রতি এক রেডিয়ো চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওটামেন্ডি বলেন, “ মেসি বিশ্বকাপ খেলবে কি না তা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত ওই নেবে। কিন্তু আমার মনে হয় মেসির বিশ্বকাপ না খেলার কোনও কারণ নেই। মেসি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার।”
ওটামেন্ডির মতে, গত কয়েক বছর মেসি চাপ না নিয়ে খেলাটা অনেক বেশি উপভোগ করছেন। একটা করে মাস ধরে এগোচ্ছেন তিনি। ওটামেন্ডি বলেন, “এখন ও ক্লাব বিশ্বকাপ উপভোগ করছে। এখন ওই দিকেই ওর মন। বিশ্বকাপের এখনও দেরি আছে। একটা করে মাস ধরে মেসি এগোচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে ও দেখবে ওর শারীরিক অবস্থা কেমন। যদি শারীরিক ভাবে ওর কোনও সমস্যা না হয় তা হলে মেসি বিশ্বকাপ খেলবে। কারণ, ওর খেলার ইচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন করার কোনও জায়গা নেই। ও সকলের থেকে আলাদা। আর্জেন্টিনার হয়ে ওকে মাঠে নামা থেকে কেউ থামাতে পারবে না।”
২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর মেসি জানিয়ে দিয়েছিলেন, সেটাই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতার পর তিনি জানান, এখনই অবসর নিচ্ছেন না। আরও কয়েক দিন খেলবেন। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচেও মেসি খেলেছেন। দেশকে পরের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করিয়েছেন। তবে সব ম্যাচে তিনি খেলেননি। কিছু ম্যাচে বিশ্রাম নিয়েছেন। বোঝা যাচ্ছে, ম্যাচ ধরে ধরে এগোচ্ছেন মেসি।
ক্লাব ফুটবলে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলছেন মেসি। এ বারই প্রথম ক্লাব বিশ্বকাপে খেলছে মায়ামি। গ্রুপ পর্ব থেকে নকআউটে উঠেছে তারা। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মায়ামির সামনে পিএসজি। অর্থাৎ, নিজের পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলবেন মেসি। পিএসজি এ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে। সুতরাং মেসিদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। আপাতত সেই চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি হচ্ছেন মেসি।