ট্রফি নিয়ে উচ্ছ্বাস টটেনহ্যামের ফুটবলারদের। ছবি: রয়টার্স।
অবশেষে ট্রফি জিতল টটেনহ্যাম হটস্পার। দীর্ঘ ১৭ বছর পর। বুধবার রাতে ইউরোপা লিগের ফাইনালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে হারাল ১-০ গোলে। একমাত্র গোল ব্রেনান জনসনের। হারের পর চাপ আরও বাড়ল ম্যান ইউ কোচ রুবেন আমোরিমের। উঠছে পদত্যাগের দাবিও।
২০০৮ সালে ইংলিশ লিগ কাপ জিতেছিল টটেনহ্যাম। তার পর এটাই বড় ট্রফি তাদের। ১৯৮৪ সালে তারা উয়েফা কাপ (এখনকার ইউরোপা লিগের সমান) জিতেছিল। সেই নিরিখে ৪১ বছর পর ইউরোপীয় মঞ্চে ট্রফি জিতল তারা। ইউরোপা লিগ জিতে পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করে ফেলল টটেনহ্যাম।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এ বার টটেনহ্যাম এবং ম্যান ইউ দুই দলেরই অবস্থা খারাপ। ম্যান ইউ ১৬ এবং টটেনহ্যাম ১৭ নম্বরে রয়েছে। তবে ইউরোপা লিগে দুই দলই ভাল খেলেছে। এ বারের ইউরোপা লিগে টটেনহ্যাম ১০টি ম্যাচ জিতেছে, তিনটি ড্র করেছে এবং দু’টি হেরেছে।
উয়েফা কাপ এবং ইউরোপা লিগ মিলিয়ে টটেনহ্যামের চেয়ে বেশি জয় কারও নেই। বুধবারের পর তারা ৯৮টি ম্যাচ জিতেছে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায়।
মাস কয়েক আগে ম্যান ইউয়ের দায়িত্ব নিয়েও হাল ফেরাতে পারেননি পর্তুগিজ কোচ আমোরিম। ম্যান ইউ আরও অতলে তলিয়ে গিয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই ভাবতে নারাজ তিনি। ম্যাচের পর বলেছেন, “ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলব না। আগে আজকের ম্যাচ হারের যে ব্যথা সেটা সামলাতে দিন। আমরাই ভাল খেলেছি। ম্যাচ জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে ছেলেরা।”
দু’বার সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল ম্যান ইউ। দু’বারই টটেনহ্যামের ফুটবলারেরা তা প্রতিরোধ করেন। সহজ সুযোগ নষ্টেরও খেসারত দিতে হয়েছে। তবে দু’দলের কেউই প্রচুর সুযোগ তৈরি করতে পারেননি।