সেই বিতর্কিত মুহূর্ত। হার্টের ‘হেডবাট’ রেফারিকে। ছবি টুইটার।
লাল কার্ড। খারাপ ট্যাকল। ফুটবলারদের ঝামেলা। একটা ডার্বি খেলার মেন্যুতে যা থাকে রবিবার প্রিমিয়ার লিগে সেটাই দেখা গেল। কিন্তু ‘ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বির’ ছবি বদলালো না। গত মরসুমের মতো আবার ডার্বি শেষে গর্ব করার পালা সেই ম্যাঞ্চেস্টার সিটিরই। এতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ হারিয়ে লুই ফান গলের উপরে আরও চাপ বাড়িয়ে দিল গত বারের চ্যাম্পিয়নরা।
স্কোরারের তালিকায় ছিলেন সেই সের্জিও আগেরো। ডার্বিতে যাঁর গোল করা সাম্প্রতিক কালে অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। যদিও ম্যাচটা জুড়ে চলল রেফারিং নিয়ে ঝামেলা। প্রথমার্ধে প্রায় দুটো নিশ্চিত পেনাল্টি দেওয়া হল না সিটিকে। তবে ম্যান ইউর ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংকে আবার দুটো হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে গেইল ক্লিশির পাসের সাহায্যে প্রিমিয়ার লিগে নিজের দশ নম্বর গোল করে সিটিকে ১-০ এগিয়ে দেন আগেরো। জবাবে রুনি, ফান পার্সিরা বহু চেষ্টা করলেও, সিটির আঁটোসাঁটো ডিফেন্সের সৌজন্যে ম্যাচের ফল পাল্টায়নি। ডার্বি জিতেও বিতর্কের রেশ ছাড়েনি ম্যান সিটিকে। প্রথমার্ধে রেফারির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ম্যান সিটি গোলকিপার। মাথা দিয়ে রেফারিকে ঢুঁসো মারেন হার্ট। কিন্তু কোনও কার্ড দেখেননি। ম্যাচ শেষে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ঝড় ওঠে, কেন লাল কার্ড দেখলেন না হার্ট? শোনা যাচ্ছে, ম্যাচের ভিডিও দেখতে চেয়েছে এফএ। যার পরে শাস্তিও হতে পারে হার্টের।
গত মরসুমে নভেম্বর মাসে ১৭ পয়েন্ট ছিল মোয়েসের ম্যাঞ্চেস্টারের। এই মুহূর্তে ফান গলের ম্যান ইউর পয়েন্ট ১৩। মোয়েসের সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগও খেলতে হচ্ছিল রুনিদের। আর ফান গলের অধীনে এক সপ্তাহ মাত্র একটা ম্যাচ খেলছে ম্যান ইউকে। ফুটবলারদের ক্লান্ত হওয়ার সুযোগও কম। তার উপরে আবার দলবদলের বাজারেও খুব কম টাকা দেওয়া হয় মোয়েসকে খরচ করার জন্য। কিন্তু ফান গল খরচ করেছেন প্রায় ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড নতুন ফুটবলার তুলে আনতে। ডার্বি শেষে তাই প্রশ্ন উঠে গেল, মোয়েসের থেকে ফান গল বেশি সুূবিধা পেলেও কেন ম্যাচ জিততে পারছেন না? এও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আর কত দিন ডাচ কোচের উপরে আস্থা রাখবেন ম্যান ইউর কর্তারা?
আর চাপে থাকা ফান গল নিজে কী বলছেন? ম্যান ইউর খেলায় খুশি কোচ বলেন, “আমরা অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না। পরের ম্যাচগুলোয় আরও উন্নতি করতে হবে।”