গ্যারেথ সাউথগেট
রাশিয়া এবং ব্রিটেনের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার উত্তাপ যখন বাড়ছে, তখন ইংল্যান্ডের ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়ে দিলেন, তাঁর দল বিশ্বকাপ খেলতে মরিয়া হয়ে আছে।
সমস্যার সূত্রপাত, রাশিয়ার এক প্রাক্তন ডাবল এজেন্ট এবং তাঁর মেয়ের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু থেকে। যে মৃত্যুর জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছে ব্রিটেন। আরও জানানো হয়েছে, ২৩ জন রুশ কূটনীতিবিদ-কে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কার করা হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আগের দিনই জানিয়েছিলেন, রাজপরিবারের কোনও সদস্য বা মন্ত্রী রাশিয়া বিশ্বকাপে যাবে না। এর পরেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, তা হলে ইংল্যান্ড দলের ভবিষ্যৎ কী হবে? বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের ম্যানেজার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, তাঁরা বিশ্বকাপে খেলার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন।
চলতি মাসে ইংল্যান্ড দু’টি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে নেদারল্যান্ডস এবং ইতালির বিরুদ্ধে। যে দু’টো ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করে ইংল্যান্ড ম্যানেজার সাউথগেট এ দিন বলেছেন, ‘‘আমরা বিশ্বকাপ খেলার জন্য মরিয়া হয়ে আছি। এই ব্যাপারে আমি এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না।’’ পাশাপাশি সাউথগেট আরও বলেছেন, ‘‘আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের মাথায় এখন শুধুই বিশ্বকাপ ঘুরছে।’’ তিনি এও বলে দেন, ‘‘তবে আমাদের কাছে সব চেয়ে গুরুত্ব পাবে আমাদের ফুটবলার এবং সমর্থকদের নিরাপত্তা। ওদের নিরাপত্তা যেন কোনও মতেই বিঘ্নিত না হয়।’’
ফিফা অবশ্য একটা ব্যাপারে সব সময় কড়া। সেটা হল, জাতীয় ফুটবল সংস্থার কাজে সরকারি হস্তক্ষেপ। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ফুটবল সংস্থাকে সাসপেন্ডও করতে পারে তারা। ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুটবল সংস্থা (এফ এ)-র তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে তবে তারা ভেবে দেখবে। এফ এ-র তরফ রবার্ট সুলিভান বলেছেন, ‘‘সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমাদের ফুটবলার, সমর্থক, কর্মীদের নিরাপত্তা। সে ব্যাপারে কোনও সমঝোতা করা চলবে না।’’
তবে সাউথগেটের আরও একটা চিন্তা আছে। তিনি মনে করেন, ইংল্যান্ডের সমর্থকেরা যদি রাশিয়ায় না যায়, তা হলে তার প্রভাব পড়বে ইংল্যান্ড ফুটবল টিমের ওপরে। ইংল্যান্ড ম্যানেজার বলেছেন, ‘‘আমাদের সমর্থকেরা সব সময় আমাদের কাছে একটা বিশাল প্লাস পয়েন্ট। ওদের সমর্থন ফুটবলারদের দারুণ ভাবে উদ্দীপিত করে। এ বার ওদের ওপর নির্ভর করবে, কোন ম্যাচটা ওরা দেখবে আর কোন ম্যাচ দেখবে না।’’