এ বার মেয়েদের পিজিএ ট্যুরে খেলবেন অদিতি

চমক দেওয়াটা যেন স্বভাব করে ফেলছেন অদিতি আশোক। ইউরোপীয় ট্যুরে পরপর দু’টি খেতাব জিতে শোরগোল ফেলার পর বেঙ্গালুরুর অষ্টাদশী গল্ফার এ বার মেয়েদের পিজিএ ট্যুরে খেলার যোগ্যতাও পেয়ে গেলেন। এর আগে মেয়ে গল্ফারদের মধ্যে সিমি মেহরা বাদে ভারতের আর কেউ যা করে দেখাতে পারেনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৭
Share:

চমক দেওয়াটা যেন স্বভাব করে ফেলছেন অদিতি আশোক। ইউরোপীয় ট্যুরে পরপর দু’টি খেতাব জিতে শোরগোল ফেলার পর বেঙ্গালুরুর অষ্টাদশী গল্ফার এ বার মেয়েদের পিজিএ ট্যুরে খেলার যোগ্যতাও পেয়ে গেলেন। এর আগে মেয়ে গল্ফারদের মধ্যে সিমি মেহরা বাদে ভারতের আর কেউ যা করে দেখাতে পারেনি। এলপিজিএ-র যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে শেষ ধাপে নেমে চব্বিশতম হলেন অদিতি। যা নিয়ে গভীর আফসোস তাঁর। কারণ নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা পর্বের সেরা কুড়ি জন এলপিজিএ-র সব ক’টি টুর্নামেন্টে নামার পূর্ণাঙ্গ কার্ড পান। ২১-৪৫ নম্বর পান আংশিক কার্ড। অদিতিকে আংশিক কার্ড নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। মানে এলপিজিএ-তে সামনের মরসুমে যত টুর্নামেন্ট হবে তার অনেক ক’টাই খেলতে পারবেন ভারতীয় গল্ফের নতুন তারকা। অদিতির নিজের কথায়, ‘‘মাত্র দু’টো শট পিছনে থেকে গেলাম ভেবে আফসোস হচ্ছে। আরও ভাল করতে পারতাম। তবে এটাও মন্দ নয়।’’ যোগ্যতা পর্বের শেষ ধাপের পাঁচ রাউন্ডে ৭৩, ৭০, ৭১, ৭১ ও ৭৩ স্কোর করেন অদিতি। ফ্লোরিডার কোর্সে রবিবার শেষ রাউন্ডে সাতাশ তম হিসাবে শুরু করে চব্বিশে শেষ করলেও সেরা কুড়ির চেয়ে পিছিয়ে থাকলেন দুই শটে। তবে এখান থেকেই সামনের দিকে তাকাচ্ছেন অলিম্পিয়ান। ঠিক করে ফেলছেন কী কী করতে চান এলপিজিএ-তে নেমে। আত্মবিশ্বাসী অদিতি বলেছেন, ‘‘মেজর টুর্নামেন্টগুলোয় নামার যোগ্য হয়ে ওঠা অবশ্যই প্রধান লক্ষ্য। তার আগে এলপিজিএ-তে যত বেশি সম্ভব খেলতে চাই। ইউরোপীয় ট্যুরে আমি দু’টো খেতাব জিতেছি। এখানেও ভাল করার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন