শিলং লাজং ১ (দীপান্দা)
মোহনবাগান ১ (জেজে)
ইস্টবেঙ্গলকে ১-২ গোলে হারিয়ে গত রবিবারই আই লিগ জয়ের হাতছানি দিয়ে রেখেছিল মোহনবাগান। শিলিগুড়ি থেকেই উড়ে গিয়েছিল শিলংয়ে। আই লিগে লাজংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে। কিন্তু পাহাড়ের উচ্চতায় সেই জয়ের পতাকা আর ওড়ানো হল না সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের। থাংবোই সিংতোর ছেলেদের কাছে আটকে গেলেন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। বুধবার শিলংয়ের মাঠের আই লিগে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই নেমেছিলেন জেজে, সনিরা। এগোলেন কিন্তু তিন পয়েন্ট পাওয়া হল না।
আরও খবর: বিদেশি নিয়ে বিস্ফোরক মেহতাব
শুরু থেকেই অ্যাওয়ে টিমকে চাপে রেখেছিল লাজং। আক্রমণেও উঠছিল পর পর। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। প্রথম আক্রমণ ১৯ মিনিটে। ভাগ্যিস বাগান গোলের নিচে দেবজিৎ মজুমদার ছিলেন। তাঁর হাতেই আটকে যায় ডিকার গোলমুখি শট। গোল না পেলেও সারাক্ষণই মোহনবাগানকে চাপে রেখে গিয়েছে লাজং। ৩৬ মিনিটে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন আজহারউদ্দিন। কিন্তু আটকে যায় বিশালের হাতে। তার আগেই গোলের কাছে প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ড্যারেল ডাফি। পেনাল্টির আবেদনও এসেছিল মোহনবাগানের পক্ষ থেকে। কিন্তু গ্রাহ্য হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আজহারউদ্দিন মল্লিককে তুলে প্রবীর দাসকে নামান সঞ্জয় সেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার পরিবর্তন আনে দু’পক্ষই। তবুও গোলের মুখ খুলতে লেগে গেল ৭৫ মিনিট। তার আগেই বলবন্ত সিংহকে তুলে জেজে লালপেখলুয়াকে মাঠে এনেছেন কোচ সঞ্জয় সেন। ৬৯ মিনিটে নেমে ৭৫ মিনিটে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিয়েোছিলেন জেজে। যদিও ব্যবধান ধরে রাখতে ব্যর্থ বাগানের রক্ষণ। তিন মিনিটের মধ্যেই পেনাল্টি পেয়ে যায় শিলং লাজং। গোল করে হোম টিমকে সমতায় ফেরান দীপান্দা ডিকা।
প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত শিলং লাজং। আর দ্বিতীয়ার্ধে একইভাবে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগানও। যদি না কাটসুমির গোলমুখি শট অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচিয়ে দিতেন লাজং গোলকিপার বিশাল। দুই গোলকিপারের অনবদ্য কিপিংয়েই ম্যাচ ড্র।