১০ ফেব্রুয়ারি: বিতর্কিত পেসার মহম্মদ আমেরকে কি ভারতের মাটিতে খেলতে দেখা যাবে? স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে পাঁচ বছর নির্বাসনের সাজা কাটিয়ে ফেরা আমেরের বুধবার এশিয়া কাপ আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে আসার চেয়েও এটা বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তান বোর্ড আগেই জানিয়েছিল, দু’দেশের সাম্প্রতিক সমস্যার জেরে ভারতে বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি নাও দিতে পারে পাকিস্তান সরকার। গত কালই পাক সরকারের কাছে এ নিয়ে আবেদন করেছে পিসিবি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ভারতে দল পাঠানোর অনুমতি তারা পাবে কি না।
প্রশ্ন হচ্ছে, যদি পাক সরকার অনুমতি না দেয়, তা হলে কী হবে? পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়র খান এর আগে বলেছিলেন, ভারতের বদলে শ্রীলঙ্কা বা আরব আমিরশাহির মতো নিরপেক্ষ কেন্দ্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ হলে তাদের খেলতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু আইসিসি সূত্রের খবর, সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুধু পাকিস্তানের খেলার জন্য নিরপেক্ষ কেন্দ্রে বিশ্বকাপের কয়েকটা ম্যাচ আয়োজন করতে কোনও ভাবেই রাজি নয় আইসিসি। সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি না পেলে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ থেকেই সরে দাঁড়াতে হবে। পাকিস্তান না খেললে কোয়ালিফায়ার কোনও দেশকে তাদের জায়গায় খেলানো হবে। যেমন চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া সরে দাঁড়ানোর পর আয়ার্ল্যান্ডকে টুর্নামেন্টে খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আইসিসি।
তবে পাক বোর্ড সামনে তাকিয়েই এগোচ্ছে। এ দিন আফ্রিদির নেতৃত্বে তারা যে দল ঘোষণা করল, তাতে বেশ কয়েক জন নতুন মুখকে নেওয়া হয়েছে। সুযোগ হয়নি উমর গুল, আহমেদ শেহজাদদের। তবে আমের, ওয়াহাব রিয়াজ, মহম্মদ ইরফানকে নিয়ে তৈরি পেস আক্রমণ কিন্তু যথেষ্ট ঝাঁঝালো। টেস্ট ওপেনার খুররম মনজুরকে দলে নেওয়ায় আবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে।