অধিনায়কের সব সমস্যার উত্তর আছে শামি-বুমরাদের কাছে

এই বিশ্বকাপে সে দিক থেকে আমরা ভাগ্যবান। কারণ, নতুন বলে বেশ কয়েক জন পেসারের দুরন্ত পারফরম্যান্স এ পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি।

Advertisement

কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০৩:৪৩
Share:

সফল: শামি-বুমরার জুটির উপর ভরসা ভারতের। ফাইল চিত্র

পেস বোলিং ক্রিকেট খেলাকে অনেক আকর্ষণীয় করেছে। যদিও সাধারণ ভাবে ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই স্ট্রোক প্লে ও বড় বড় সব চার-ছক্কা দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু আমার মতে এই সব বিশাল চার-ছক্কা দেখার উত্তেজনা হারিয়ে যায়, যখন প্রকৃত ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে ব্যাটসম্যান ব্যর্থ হওয়ায় উইকেট ভেঙে যায়।

Advertisement

ক্রিকেটার জীবনে একজন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ছিলাম। জীবনে অনেক আগুনে পেস বোলারকে সামলাতে হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বলছি, একজন পেসার ম্যাচের ছন্দ নিয়্ন্ত্রণ করছে, এর চেয়ে মনোরম দৃশ্য ক্রিকেটে আর হয় না।

এই বিশ্বকাপে সে দিক থেকে আমরা ভাগ্যবান। কারণ, নতুন বলে বেশ কয়েক জন পেসারের দুরন্ত পারফরম্যান্স এ পর্যন্ত দেখতে পেয়েছি। যে দু’টো হ্যাটট্রিক হয়েছে, সে দু’টোই করেছে পেসাররা। মহম্মদ শামি ও যশপ্রীত বুমরাকে দেখে যেমন ভাল লেগেছে। তেমনই দুর্দান্ত লেগেছে ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্টার্কের গতিময় বোলিং।

Advertisement

বিশ্বকাপ শুরুর আগে যে ভাবে বলা হচ্ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল এই প্রতিযোগিতা চার-ছক্কা মারার প্রতিযোগিতা হতে চলেছে। ধন্যবাদ ফাস্ট বোলারদের, যারা এ বারের বিশ্বকাপে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত করেছে বল হাতে সাফল্য দেখিয়ে।

উদাহরণ হিসেবে প্রথমেই মাথায় আসছে বুমরা ও শামির নাম। বিরাট কোহালি যখনই বুমরার হাতে বল তুলে দিয়েছে, ও নতুন কিছু করে দেখিয়েছে। বিপক্ষের রান তোলার গতি কমানোই হোক বা জুটি ভাঙা—বিরাটের এই ধরনের সমস্যা সমাধানের সব উত্তরই রয়েছে মহম্মদ শামি ও যশপ্রীত বুমরার কাছে।

এই দুই ফাস্ট বোলার সব সময়েই অধিনায়কের কাজটা সহজ করে দেয়। এ রকম দু’জন পেসার থাকলে অধিনায়ক অবহিত থাকে, যত কঠিন পরিস্থিতিই আসুক না কেন, তা সামলে ওঠার মতো বোলার আমার হাতে রয়েছে। বড় ফাস্ট বোলাররা সব সময়েই প্রতিযোগিতার বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠে। বিশ্বকাপে এ বার সেই সময়টা চলে এসেছে।

বিশ্বকাপে লিগের খেলা প্রায় শেষ পর্যায়ে। তার পরে শুরু হবে নকআউট পর্ব। আমার মতে, এই জায়গা থেকে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারিত হবে কোন দলের বোলিং শক্তি কত বেশি তার উপর ভিত্তি করে। ব্যাটিং শক্তির উপর ততটা নির্ভর করে নয়। ভারত ও অস্ট্রেলিয়া—এই দুই দলেরই ভারসাম্য চমৎকার। বল হাতেও এই দুই দেশের বোলাররা দ্রুত বিপক্ষের উপর আঘাত হানতে পারে। ইংল্যান্ডের পরিবেশে বল সুইং করাতে পারলে তা একটা বাড়তি অস্ত্র বোলারের কাছে। তাই এই পর্যায়ে আড়াইশোর মতো রান টপকানো কিন্তু একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এই প্রতিযোগিতাও উপভোগ করতে পারা একটা দারুণ ব্যাপার।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন