আর এক বছরও বাকি নেই৷ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে বসতে চলছে ক্রিকেটের বিশ্বযুদ্ধের আসর৷ কিন্তু, আগামী ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখা যাবে না এক দিনের ক্রিকেটের অনেক তারকাকে৷ কেউ অবসর নিয়েছেন। কেউ আবার ফর্মে না থাকার জন্য অনেক দিন আন্তর্জাতিক দলের বাইরে। দেখে নেওয়া যাক এমনই কয়েক জনকে৷
যুবরাজ সিংহ (ভারত): এখনও অবসর দেননি৷ ক্যানসারকে হারিয়ে মাঠেও ফিরেছেন৷ কিন্তু, আর সে ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না৷ ২০১৭ সালে শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন৷ ৩০৪ টি ম্যাচ খেলেছেন৷ গড় ৩৬.৫৪৷ উইকেট পেয়েছেন ১১১টি৷ বর্তমান পরিস্থিতি বলছে আগামী বছর বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম (নিউজিল্যান্ড): নিউজিল্যান্ডের অনতম সফল ক্রিকেটার৷ ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন৷ দেশের হয়ে ২৬০টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন৷ তিরিশের উপর গড়৷ শুধু নিউজিল্যান্ড নয়, বিশ্বের অন্যতম সফল একদিনের ক্রিকেটারদের তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম৷
শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার ছিলেন৷ ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও কারসাজি দেখিয়েছেন বার বার৷ ১৯০টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন৷ করেছেন ৫৭৫৭ রান৷ গড় চল্লিশের উপর৷ ১৬৮টি উইকেট রয়েছে তাঁর দখলে৷ ২০১৬ সালে তিনি অবসর নেন।
এবি ডে’ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা): শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, বিশ্বের সেরা এক দিনের ক্রিকেটারদের মধ্যে থাকবেই এবির নাম৷ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন৷ ২২৮টি ম্যাচ খেলেছেন৷ গড় ৫৩.৫০৷ তার মতো ক্রিকেটার এক দিনের ম্যাচে যে কোনও দলের কাছেই সম্পদ।
ইউনুস খান (পাকিস্তান): ২০১৫ সালে এক দিনের ম্যাচ থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন৷ পাকিস্তানের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি থাকবেন৷ মোট ২৬৫টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন৷ গড় তিরিশের উপর৷ মোট রান করেছেন ৭২৪৯।
লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): গত বছর ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে হারের পরই অবসরের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। চোটের কারণ দীর্ঘ দিন দলের বাইরে ছিলেন। ১৯ মাস পড়ে দলে ফিরে তেমন কিছুই করতে পারছেন না শ্রীলঙ্কার সর্বকালের অন্যতম সেরা এই বোলার। ২০৪টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন, পেয়েছেন ৩০১টি উইকেট। বর্তমান ফর্মের বিচারে আগামী বিশ্বকাপে তাঁর সুযোগ খুবই কম।