প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায়। টিম ইন্ডিয়ার প্র্যাকটিসে গৌতম গম্ভীর।
আজ, শনিবার শেষ টেস্ট শুরু। পিচ দেখতে কেমন লাগছে, তা নিয়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের একটা টুইটই যথেষ্ট। ইনদওরের পিচ শুকনো, ফাটা-ফাটা। যা দেখে মনে হচ্ছে সামনের চারটে দিন ব্ল্যাক ক্যাপসের ভাল লড়াই শুরু হবে। চার দিন বলছি কারণ পিচ দেখে নিউজিল্যান্ডের আশা জাগার কথা নয়। সিরিজ তো ভারত কর্তৃত্ব রেখে জিতেই গিয়েছে। কানপুরের দ্বিতীয় দিন বাদ দিলে ওরা পিছিয়ে ছিল না।
ইনদওরের হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভারতের জন্য নতুন টেস্ট কেন্দ্র। আর আমি নিশ্চিত ওখানকার ভক্তরা ক্রিকেটের বড় বড় তারকাকে দেখতে দারুণ উত্তেজিত। ছোট ছোট কেন্দ্রে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা নতুন নিয়েছে বিসিসিআই। অন্যান্য মাঠে যা দর্শক হয়েছে, তার চেয়ে এ সব স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে অনেক বেশি ভিড় হবে বলে মনে হয়।
এই টেস্টটা জিততে গেলে কী করতে হবে, নিউজিল্যান্ডের মাথায় নিশ্চয়ই সেই চিন্তা ঘুরছে। প্রথমেই ওদের যেটা করতে হবে তা হল, টসটা জিততে হবে। এই বিভাগে হালফিলে বিরাট কোহালির ভাগ্য দারুণ যাচ্ছে। শেষ টেস্টে অন্তত সঠিক ‘কল’ করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে কেন উইলিয়ামসন। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হলে দেখছি নিউজিল্যান্ডের পালের হাওয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই বলছি, শনিবারের টসটা ম্যাচের উপর বড় প্রভাব ফেলবে।
নিউজিল্যান্ডের আরও একটা জিনিস দরকার— তিন নম্বরে ওদের অধিনায়ক উইলিয়ামসনের প্রত্যাবর্তন। ওদের ব্যাটিংয়ের খুব বড় শক্তি উইলিয়ামসন। তার উপর রস টেলরও রানের মধ্যে নেই। যার জন্য উইলিয়ামসনের একটা বড় ইনিংস ওদের আরও বেশি করে প্রয়োজন। বোলিং আক্রমণটাও ঠিকঠাক নামাতে হবে। ম্যাট হেনরিকে টিমে রাখতেই হবে।
ভারতীয় দলে খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। টপ অর্ডারে ফিরতে চলেছে গৌতম গম্ভীর। ওর জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন কখনওই সহজ নয়। কিন্তু গম্ভীর নিজের প্রতিভার জোরে এই প্রত্যাবর্তন অর্জন করে নিয়েছে। ওর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আত্মবিশ্বাস আর নিজের প্রতি আস্থা। কারও প্রতিভা নিঃশেষ হয়ে যায় না। যেটা হয় তা হল, মনোভাবটা পাল্টে যায়। লোকে অন্য ভাবে ভাবতে শুরু করে। গম্ভীর এখনও খুব ভাল ক্রিকেটার। আর ও ভাল শুরু করতে পারে ওর উপর চাপ অনেকটা কমে যাবে। ব্যাটিংয়ের প্রথম কুড়ি মিনিট ওকে লড়তে হবে। তার পরে মনটা শান্ত হয়ে যাবে।