ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়কের সঙ্গে হাত মেলাতে ছুটে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন মুখ জোন্ডো। ছবি: এএফপি।
দ্বিতীয় ওয়ান ডে
দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৮/১০ (৩২.২ ওভার)
ভারত ১১৯/১ (২০.৩ ওভার)
ছ’ম্যাচের সিরিজ ২-০তে এগিয়ে গেল ভারত। শুধু জয় নয়, এ যেন হেলায় হারিয়ে জয় তুলে নেওয়া। আইসিসির নিয়মে আটকে একটা ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। যখন দু’রান বাকি জিততে তখন হঠাৎই লাঞ্চ ব্রেক দিয়ে দেন আম্পায়ার। তা নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে এই মুহূর্তে প্রচুর আলোচনা। কিন্তু সব আলোচনার উর্ধ্বে উঠে ডারবানের পর সেঞ্চুরিয়নেও বাজিমাত ভারতীয় ক্রিকেট দলের। লাঞ্চ সেরে ফিরে ইমরান তাহিরের প্রথম দুটো বলে কোও রান নিতে পারেননি বিরাট কোহালি। তৃতীয় বলে ২ রান নিতেই ২০.৩ ওভারে শেষ খেলা।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। টেস্ট সিরিজ থেকে এখনও পর্যন্ত দারুণ সফল ভারতের বোলিং। প্রথমে ব্যাট করতে নামা হোম টিমকে যে ভাবে ১১৮ রানে থামিয়ে দিলেন বুমরা, চাহালরা তাতে ব্যাটসম্যানদের বিশেষ কিছু করার ছিল না। একা চাহালই নিলেন ৫ উইকেট। তিন উইকেট এল কুলদীপ যাদবের ঝুলিতে। একটি করে উইকেট নিলেন ভুবনেশ্বর কুমার ও বুমরার।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেননি কোনও দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যানই। ওপেন করতে নামা হাশিম আমলাকে ২৩ রানে ভুবনেশ্বর ফেরানোর পরই কককে ২০ রানে ফেরান চাহাল। মারক্রাম ফেরেন ৮ রানে, দুমিনির রান ২৫। মিলারকে ফিরতে হয় ঝুলি ফাঁকা রেখেই। ঝোন্ডোর রান ২৫। ২৫ই দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান। যা এসেছে দু’জনের ব্যাট থেকে। মরিস ১৪, রাবাডা ১, মর্কেল ১, ইমরান তাহির ১ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান। কেউই ভারতীয় বোলিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারেননি।
আরও পড়ুন
দু’রান বাকি থাকতে লাঞ্চ ব্রেক, ‘অদ্ভুত’ সিদ্ধান্ত!
জবাবে ব্যাট করতে নেমে খুব সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। টেস্ট সিরিজে ২-১ এ হেরে ওয়ান ডে সিরিজ খেলতে নেমেছিল ভারত। কিন্তু ছ’ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের শুরুটা রীতিমতো আধিপত্ত রেখেই করে দিল বিরাট কোহালি অ্যান্ড ব্রিগেড। ১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নিতে কোনও কষ্টই করতে হল না।
বল হাতে দুরন্ত চাহাল। ম্যাচের সেরাও তিনিই।
রোহিত শর্মা ব্যাট হাতে আবারও ফ্লপ। দেশের মাটিতে দাঁপিয়ে খেলা, সেঞ্চুরি করা রোহিত বিদেশের মাটিতে এখনও নিজের জাত চেনাতে পারেননি। টেস্টের পর এখনও ফ্লপ তিনি। তাঁকে টেস্ট দলে নেওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও তাঁর উপরই ভরসা রেখে চলেছে। ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফ্লপ করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে এত কম রানের লক্ষ্যে নেমেও ক্রিজে টিকে থাকতে ব্যর্থ রোহিত। ১৫ রান করে রাবাডার বলে মর্কেলকে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন তিনি। তবে, ওপেনার শিখর ধবনের সঙ্গে বাকি কাজটি করে গেলেন অধিনায়ক কোহালি।
হতাশ করলেন রোহিত।
৫৬ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেললেন শিখর ধবন। রোহিতের মতো অফ-ফর্ম চলছিল ধবনেরও। কিন্তু এ দিন তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। উল্টোদিকে তিন নম্বরে নেমে ৫০ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকলেন বিরাটও। তাঁর ব্যাট থেকেই এল উইনিং রান। ভারতের একমাত্র উইকেটটি নিলেন রাবাডা। দারুণ একটা বোলিং স্পেলের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ৮.২ ওভারে ১টি মেডেনসহ ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন চাহাল। ৯ উইকেটে দ্বিতীয় ওয়ান ডে জিতে সিরিজেও এগিয়ে থাকল ভারত।