৫-৭৩। কানপুরে জাডেজার দিন। ছবি: রয়টার্স।
আস্তে আস্তে কিন্তু নিশ্চিত ভাবে ভারত প্রথম টেস্ট ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জেতার সব পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। তৃতীয় দিনের শুরুতে যখন নিউজিল্যান্ড এক উইকেটে দেড়শোর মতো রান নিয়ে খেলতে নামে, ওরা কতটা ভারতকে চাপে ফেলতে পারবে সেটাই বড় প্রশ্ন ছিল।
ভারতের দিক থেকে তেমনই দেখার ছিল স্পিনাররা কত দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ছবিটা পাল্টাতে পারে। কারণ, সাধারণত ভারতীয় পিচে একটা বড় পার্টনারশিপ ভেঙে যাওয়া মানে এর পর দ্রুত উইকেট পড়া শুরু হওয়া। নতুন ব্যাটসম্যানের পক্ষে তখন পরিস্থিতি সামলানো সহজ হয় না। ঠিক সেটাই হল শনিবার। দু’জন সেট ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম আর কেন উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পর রস টেলরও কিন্তু দু’বলের বেশি ক্রিজে এসে টিকতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডের পাল থেকে এটাই হাওয়াটা কেড়ে নিল।
পাশাপাশি দুই ভারতীয় স্পিনারের কথাও বলতে হবে। উইলিয়ামসন যে বলটায় আউট হল বিশেষ করে সেই ডেলিভারিটার কথা। একেবারে ক্ল্যাসিক অফ স্পিনারের ডেলিভারি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ঠিক ততটাই স্পিন করল, যতটা অফ স্টাম্পের মাথায় লাগতে প্রয়োজন ছিল। এ রকম উইকেট যেখানে বল টার্ন করছে, অশ্বিনের জন্য এটাই বল করার সঠিক জায়গা। সঙ্গে এটাও বলব, যেখানে বল অতটা টার্ন করছে না, হয়তো অশ্বিন মিডল স্টাম্প লাইন টার্গেট করতে পারে।
প্রশংসা করতে হবে রবীন্দ্র জাডেজার পারফরম্যান্সেরও এবং এমন একটা পিচে যেখানে ওর বোলিং স্টাইল খাপ খেয়ে যায়। টানা একই লাইনে বল করে যাওয়ার পুরস্কার পেল জাডেজা। আরও একটা জিনিস ও করছিল। বোলিং ক্রিজের বিভিন্ন কোণ থেকে ডেলিভারি করে যাওয়া। তাতে ব্যাটসম্যানকে সব সময় আন্দাজ করে যেতে হচ্ছিল ঠিক কোন দিক থেকে বলটা আসতে পারে। ওদের রান ওঠার গতিও কমে যাচ্ছিল তখন।
ভারত এর মধ্যেই দুশো রানের লিড নিয়ে ফেলেছে। আর যে ভাবে ব্যাট করছে তাতে মনে হচ্ছে ম্যাচ এখন এক দিকেই যেতে পারে। এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের জন্য চতুর্থ আর পঞ্চম দিন ভারতীয় স্পিনারদের সামনে ক্রিজে টিকে থাকাটা শুধু বিরাট চ্যালেঞ্জেরই নয় ভীষণ কঠিনও।