মোহালির নেটে ধোনির নকিং। শনিবার।-পিটিআই
দিল্লির দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে ভাল প্রত্যাবর্তন করল নিউজিল্যান্ড। ব্ল্যাক ক্যাপস যে টার্গেট দিয়েছিল ভারতকে, সেই ২৪২ কঠিন বা বড় টার্গেট নয়। কিন্তু সেটা দারুণ ডিফেন্ড করল ওরা, তা-ও আবার ফিরোজশাহ কোটলার ওই ছোট মাঠে। চল্লিশ ওভারের আশেপাশে ২০৪-৩ থাকার পর ২৪২-এ শেষ হয়ে গিয়ে নিশ্চয়ই নিউজিল্যান্ড হতাশ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু শেষমেশ ওরা দারুণ খেলেছে।
এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একদম ঠিক কম্বিনেশন খেলিয়েছে। ওদের বোলিংয়ে যেটা চোখে পড়ল। দিল্লির সারফেসে ট্রেন্ট বোল্ট দুর্দান্ত খেলেছে। বল মুভ করাতে পারার ক্ষমতার জন্য ওকে সব সময় টিমে রাখা দরকার। অন্য দিকে ভারত রান তাড়া করার উপর ভাল নিয়ন্ত্রণ জমাতে পারেনি। অনেকগুলো উইকেট পড়ে গিয়েছিল। বা ওরা ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাচ্ছিল। যার জন্য নিউজিল্যান্ড সব সময়ই লড়াইয়ে ছিল।
এই হারটা নিয়ে অবশ্য ভারতের প্রচুর চিন্তাভাবনা করার দরকার নেই। কারণ দুটো দলের মধ্যে ভারত বেশি ভাল। মোহালিতেও ওদের হারাতে হলে নিউজিল্যান্ডকে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে। ওখানকার পিচ ভাল হবে। বল ভাল মুভ করবে আর ব্যাটেও আসবে। যাতে শট খেলতে সুবিধে হওয়ার কথা। আরও এক বার টস জিতে আগে ফিল্ডিং করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। শিশির ফ্যাক্টরটা মাথায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে হার্দিক পাণ্ড্যর অলরাউন্ড দক্ষতা দেখে ভাল লাগল। সময়ের সঙ্গে ও ম্যাচ শেষ করাটাও শিখে যাবে। মাঝেমধ্যে ওকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে আনার কথা ভাবতে পারে ভারত। আর ধোনিকে একটা জিনিস দেখতে হবে— ওর নিজের ব্যাটিং। ধোনি নিজের উপর বড্ড বেশি চাপ নিয়ে ফেলছে। আমার মনে হয় ওর উচিত নিজের ক্ষমতা অনুযায়ী খেলা। আমরা সবাই জানি ও কী রকম ব্যাট করতে পারে। এ রকমও হতে পারে যে, অনিল কুম্বলে ওর সঙ্গে কথা বলল। বলে ধোনিকে সেই ক্রিকেটটা খেলার স্বাধীনতা দিল। ওর সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেট করার কাজটা না হয় কেদার যাদব বা মণীশ পাণ্ডে করল।
সিরিজ এখন ১-১। ভবিষ্যদ্বাণী না করেই বলছি, নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ভারতীয় দলকে অনেক বেশি উন্নত দেখাচ্ছে।