জয়ের পর কোহালিদের উচ্ছ্বাস।ছবি: পিটিআই।
১৯৭ রানে ৫০০তম টেস্ট জিতে নিল ভারত। কিউয়িদের সামনে ৪৩৪ রানের টার্গেট রেখেছিল কোহালিরা। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয় উইলিয়ামসনদের। অশ্বিনের ঘূর্ণি এবং শামির পেস ঝড়ে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায় কিউয়িদের ব্যাটিং লাইন আপ। সেই সঙ্গে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত।
রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথমেই বেকায়দায় পড়ে ‘ব্ল্যাক ক্যাপ’রা। ইনিংসের শুরুতেই ২ রানে লাথামের উইকেট তুলে নেন অশ্বিন। এর পর গাপ্টিলকে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি। ওপেনিং জুটির কোমর ভেঙে দেওয়ায় স্বভাবতই বেশ চাপে পড়ে যায় কিউয়িরা। এর পর হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন। তবে তিনিও বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। ফের অশ্বিনের ঘূর্ণির কাছে হার মানতে হয় তাঁকে। ২৫ রানে ফিরে যান তিনি। এর পর রঙ্কি-স্যান্টনার জুটি ক্রিজে জমিয়ে বসেন। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়।
উইকেট নেওয়ার পর অশ্বিন। ছবি: এএফপি।
পঞ্চম এবং শেষ দিনে খুব সতর্ক ভাবে খেলা শুরু করেন রঙ্কি-স্যান্টনার জুটি। ভারত তখন মরিয়া এই জুটিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তুলে নিতে। ধীরে ধীরে এঁরা ১০২ রানের পার্টনারশিপ করে ফেলেছিলে আগেই। এই জুটিকে ভাঙতে নিয়ে আসা হয় জাডেজাকে। ব্যস! এই ছকটাই কাজে লেগে যায় কোহালির। ৮০ রানের মাথায় তাঁর উইকেটটি তুলে নেন জাডেজা। স্যান্টনার তখনও লড়ে যাচ্ছিলেন অশ্বিন, জাডেজা এবং শামির ত্রিমুখী আক্রমণের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই অশ্বিনের হাতে বধ হন ৭১ রানে। এই জুটি ভাঙার পর নিজেদের টার্গেটে পৌঁছতে আর বেশি দেরি করতে হয়নি কোহালি-অশ্বিন-রোহিতদের। পুরো খেলাটাকেই কার্যত একা হাতে ঘুরিয়ে দিলেন অশ্বিন।
ম্যাচ জয়ের পর কোহালি বলেন, “ছেলেরা প্রত্যেকেই দারুণ খেলেছে। প্রথম দিকে আমরা ভাল ব্যাট করছিলাম। পর পর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। দলের সঙ্কটের সময় হাল ধরেছিলেন অশ্বিন ও জাডেজা। ওঁদের রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।” ক্যাপ্টেনসি নিয় তিনি বলেন, “অধিনায়কত্বের শুরুতে রয়েছি আমি। সব সময় অন্যের উপদেশ নেওয়ার চেষ্টা করি।” লোয়ার মিডল অর্ডার যে দলের পক্ষে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা অস্বীকার করতে ভোলেননি কোহালি। তিনি বলেন, “এই জায়গাটাতেই আমাদের আরও বেশি নজর দিতে হবে।”
অন্য কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, “ভারত দারুণ ব্যাটিং ও বোলিং করেছে।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, ব্যাটিং সহায়ক পিচে ভারতকে ৩০০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়াটাও ছিল একটা বড় ব্যাপার। স্যান্টনার ও রঙ্কির প্রশংসাও করেন তিনি। সেই সঙ্গে ইডেনেও তার দল যে চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি হচ্ছে সে বার্তাও দিয়ে যান।
আরও খবর...