আইপিএল ক্রিকেটবিশ্বকে অনেক প্রতিভা উপহার দিয়েছে। শেন ওয়াটসন, ডেভিড ওয়ার্নার, ডেভিড মিলারদের চিনিয়েছে এই লিগ। কিছু ক্রিকেটারের গায়ে বিশেষ ফ্র্যাঞ্চাইজির ছাপ লেগে গিয়েছে। যেমন বিরাট কোহালি বললেই বেঙ্গালুরুর নাম মাথায় আসে। তবে এমন ক্রিকেটাররাও আছেন, যারা কোনও বিশেষ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলেছেন বলে তেমন ভাবে শোনাই যায়নি। দেখে নেওয়া যাক তেমনই কয়েক জনকে।
স্টিভ স্মিথ (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): ২০১০ সালে বেঙ্গালুরু দলে ছিলেন স্টিভ স্মিথ। কিন্তু একটি ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি। পরের বছর তাঁকে কেনে কোচি টাস্কার্স। সে বছরও বাইশ গজে নামার সুযোগ পাননি তিনি। এর পর নাম লেখান পুণে এবং রাজস্থানে। ফাইল চিত্র।
মণীশ পাণ্ডে (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স): মণীশ পাণ্ডের নাম শুনলেই নাইট রাইডার্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের কথা মনে পড়ে। কিন্তু এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের আইপিএল অভিষেক হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হাত ধরে। পরের বছরই বেঙ্গালুরুতে যোগ দেন মণীশ। সেখানেই প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে আইপিএল সেঞ্চুরি করেন মণীশ। ছবি: এএফপি।
ক্রিস লিন (ডেকান চার্জার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ): নাইট রাইডার্স ফ্যানরা শুনলে অবাক হবেন, কিন্তু এই অজি ব্যাটসম্যানের আইপিএল অভিষেক হয়েছিল ২০১২ সালে ডেকানের হয়ে। এক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এর পর ডেকান উঠে যাওয়ায় সানরাইজার্সে আসেন লিন। ২০১৩ সালে সেখানে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি লিন। ছবি: এএফপি।
মহম্মদ কইফ (কিংস ইলেভেন পঞ্জাব): রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে তাঁর রেকর্ড খারাপ নয়। কিন্তু মহম্মদ কইফ যে কিংস ইলেভেনর হয়েও খেলেছেন, তা জানা নেই অনেকেরই। প্রীতি জিন্টার দলের হয়ে গোটা তিনেক ম্যাচ খেলেন তিনি। ছবি: রয়টার্স।
ইয়ন মর্গ্যান (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু): মর্গ্যানের আইপিএল রেকর্ড বললেই তাঁর নাইট রাইডার্সের হয়ে পারফরম্যান্সের কথা মনে পড়ে। কিন্তু তিনি যে বেঙ্গালুরুতেও খেলেছিলেন, জানতেন? ২০১০ সালের সেই বেঙ্গালুরু দলে অবশ্য রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটাতে হয়েছে।