আইপিএল-এর ১২টা মরসুম ধরে কেউ কেউ ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করে আসছেন। এমনও অনেকে আছেন যাঁরা পরিচিত হয়ে আছেন শুধুমাত্র একটি-দু’টি আইপিএল-এর জন্য। আইপিএলের সুবাদে জাতীয় দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর প্রায় হারিয়েই গিয়েছেন। দেখে নেওয়া যাক তেমনই এক জনকে।
মনপ্রীত গোনি। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে অভিষেক হয়েছিল এই ডানহাতি পেসারের। প্রথম আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্সে সবাইকে চমকে দিলেও ফর্ম ধরে রাখতে ব্যর্থ হন।
দীর্ঘ উচ্চতার সুঠাম চেহারার এই ডান হাতি সিমার ২০০৮ সালে আইপিলের দৌলতেই জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন।
জাতীয় দলের হয়ে হংকং ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। দু’টি উইকেটও পান।
২০০৮ সালে চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছিলেন। ১৬ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে দারুণ ভাবে শুরু করেছিলেন, অথচ আজ জাতীয় দল থেকে অনেকটাই দূরে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ডেবিউ হয় পঞ্জাবের হয়ে ২০০৭-২০০৮ সালে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল পারফরম্যান্সও ছিল। দেওধর ট্রফিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও ছিলেন তিনি।
২০০৯-২০১০ সালে রঞ্জি ট্রফিতে ভাল পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। ৩১ উইকেট-সহ তাঁর গড় ছিল ১৯.২৯।
রঞ্জিতে ভাল খেললেও পরবর্তী আইপিএলগুলিতে একেবারেই ভাল খেলতে পারেননি। ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলার সময় রাহুল দ্রাবিড়ের উইকেট দখল করেছিলেন তিনি। পুণে ওয়ারিয়র্সের হয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উইকেটও দখল করেন মনপ্রীত।
মাঝে বেশ কিছুদিন ফর্ম ভাল ছিল তাঁর। পরবর্তীতে রঞ্জিতে রানও করেছেন ভাল। উইকেটও পেয়েছেন। তবে ২০১৭ সালে গুজরাত লায়নস তাঁকে কিনলেও একটি ম্যাচে সুযোগ পান। একটি উইকেট নেন।
২০১৯ সালের আইপিএলে দিল্লির হয়ে খেলার জন্য ট্রায়াল দিয়েছিলেন। তবে জায়গা মেলেনি।
বাংলার বিরুদ্ধে পঞ্জাবের হয়ে মাস তিনেক আগে শেষ ম্যাচে দু’টি উইকেট পেয়েছেন। ৬৯ রান করেছেন ৬৭ বলে। তবে জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই, ধারাবাহিকতার অভাবের জন্যই।