প্লে-অফে ওঠা নিশ্চিত করে ফেলেছে চেন্নাই। ১৪ পয়েন্ট পেয়েছে মুম্বই এবং দিল্লি। দু’টি দলেরই এখনও তিনটি করে ম্যাচ বাকি। তাই তারাও প্রায় নিশ্চিত। এখন লড়াইটা মূলত চতুর্থ দলকে নিয়ে। নাইটরা কী পারবে প্লে-অফে যেতে? দেখে নেওয়া যাক প্লে অফে খেলার দাবিদার কোন দলগুলি।
চেন্নাই সুপার কিংস: ১২টি ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়েছে ধোনির দল। হিসেব যা বলছে, প্লে-অফে ওঠা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে চেন্নাইয়ের। তবে, অধিনায়ক ধোনির চোট দলকে ভাবাচ্ছে। ধোনির অনুপস্থিতিতে দলকে কিছুটা হলেও ছন্নছাড়া মনে হচ্ছে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন মুম্বই এখনও পর্যন্ত খেলেছে ১১টা ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ১৪। এখনও মুম্বইয়ের তিনটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। একটিতে জিতলেই শেষ চারে ওঠা নিশ্চিত বলা চলে।
দিল্লি ক্যাপিটালস: সৌরভের পরামর্শে যেন নতুন রূপে পাওয়া গিয়েছে দলটাকে। মুম্বইয়ের মতো দিল্লির পয়েন্টও ১৪। তারাও খেলেছে ১১টা ম্যাচ। তিন নম্বর দল হিসেবে দিল্লির প্লে অফে যাওয়াও অনেকটা নিশ্চিত বলা চলে।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: চতুর্থ দল হিসেবে হায়দরাবাদের ল়ড়াই পঞ্জাবের সঙ্গে। এখনও পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট রয়েছে তাদের দখলে। এখনও চারটি ম্যাচ পাচ্ছে তারা।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাব: রান রেটের বিচারে হায়দরাবাদের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। তবে পয়েন্টের হিসেবে হায়দরাবাদের মতোই দশ পয়েন্ট রয়েছে তাদের। কিন্তু, হায়দরাবাদের থেকে একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে পঞ্জাব।
কলকাতা নাইট রাইডার্স: এ বার আইপিএল অভিযানটা বেশ ভালই শুরু করেছিল নাইটরা। কিন্তু, ক্রমেই ছন্দ হারিয়ে ফেলে তারা। পরিস্থিতি এতটাই জটিল এখন শেষ তিনটি ম্যাচ জিতলেও প্লে-অফে যাওয়া খুবই কঠিন।
রাজস্থান রয়্যালস: লিগ টেবিলের সপ্তম দল রাজস্থান। আট পয়েন্ট রয়েছে ১১টি ম্যাচে। হায়দরাবাদ এবং পঞ্চাবকে টপকে শেষ চারে যাওয়া তাদের পক্ষে এক প্রকার অসম্ভব।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: এ বারের আইপিএলে বেশ চমকপ্রদ দল তৈরি করেছিলেন বিরাট কোহালিরা। কিন্তু, শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়েছে তাদের। ১১ ম্যাচে আট পয়েন্ট পেয়েছে তারা। শেষ তিনটি ম্যাচ শুধু বড় ব্যবধানে জেতাই নয়, বাড়াতে হবে রান রেটও। তা হলে যদি হিসেবের মধ্যে আসে তারা। লিগ টেবিলে সব থেকে নীচে বিরাটের দল।