প্রথম ম্যাচে জিতলেও ধোনির নেতৃত্বের কাছে ধাক্কা খেতে হয়েছে। দলের কোচ যেমন পন্টিং, তেমন পরামর্শদাতার নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বার দিল্লি ক্যাপিটালসের সামনে ফর্মে থাকা কেকেআর। কেমন হবে সৌরভদের স্ট্র্যাটেজি। কেমনই বা হবে প্রথম একাদশ।
শিখর ধওয়ন: ভারতের অন্যতম সেরা এই ওপেনারটির সামনে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ বিশ্বকাপের আগে। আগের ম্যাচে রান পেয়েছেন। ধারাবাহিকতার সমস্যা কাটিয়ে উঠে এই ম্যাচেও রান করতে হবে।
পৃথ্বী শ: তরুণ ভারতীয় ওপেনারটি শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত তালিকায় ঢুকে পড়তে পারেন। তার জন্য আইপিএলে ভাল কিছু করতে হবে। গত ম্যাচে শুরুটা ভাল করেও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি তরুণ পৃথ্বী।
শ্রেয়স আইয়ার: শুধু নির্বাচকদেরই নয়, বহু প্রাক্তন ক্রিকেটারের নজর কেড়েছেন। প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিংকেও শ্রেয়সের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তেমন বিশেষ কিছু করতে পারেননি।
ঋষভ পন্থ: এই মুহূর্তে সবার নজর রয়েছে ঋষভের দিকে। বিশ্বকাপে চূড়ান্ত তালিকায় নাম ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম দুটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন। তবে, আরও সফল হতে হবে।
কলিন ইনগ্রাম: দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা পারফরমার কলিন ইনগ্রাম নামতে পারেন পাঁচ নম্বরে। প্রথম ম্যাচে রান পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
অক্ষর পটেল: অলরাউন্ডার হিসেবে দলে থাকার সম্ভাবনা অক্ষর পটেলের। বাঁ হাতি বোলার হিসেবে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেন।
ইশান্ত শর্মা: নিঃসন্দেহে দলের পেস আক্রমণের নেতৃত্বে থাকবেন। টেস্টে বর্তমান ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা পেসার।
ট্রেন্ট বোল্ট: নিউজিল্যান্ডের সিমারটি নিজের দিনে একাই বিপক্ষকে শেষ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। বোলিং শক্তিকে মজবুত করতে বোল্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
অমিত মিশ্র: বেশ কিছুদিন জাতীয় দলের বাইরে। নির্বাচকদের তেমন নজরেও নেই। আইপিএলে ভাল কিছু করলে ভবিষ্যতে ভাগ্য ঘুরতেও পারে এই লেগ স্পিনারের। শেষ ম্যাচেও দুটি উইকেট পেয়েছিলেন।
ক্রিস মরিস: দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার অলরাউন্ডারকে কিমো পলের জায়গায় দলে নিতে পারে দিল্লি। এর ফলে বোলিংয়ে বৈচিত্র তো আসবেই, শেষ দিকে পাওয়ার হিটিংয়েও সুবিধা হবে।
কাগিসো রাবাডা: দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারটি এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম বিষ্ময়। ইশান্ত-বোল্টের সঙ্গে খুবই কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সুনাম অনুযায়ী বল করতে পারেননি।