মুম্বই ইন্ডিয়ান্স মোট তিন বার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ বার ১২তম আইপিএলে কোন ১১জন তাক লাগিয়ে দিতে চলেছে দলের হয়ে? এই দলে অঘোষিত পরামর্শদাতা সচিন বলা হয় এমনটাই। দেখে নেওয়া যাক সৌরভের দিল্লির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের সম্ভাব্য একাদশ।
ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপে নামার আগে আইপিএল থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে রাখতে চাইছেন রোহিত শর্মা। ক্যাপ্টেন হিটম্যানের হাত ধরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। তিনিই প্রথমে নামবেন।
রোহিতের সঙ্গে নামার কথা এভিন লিউয়িসের। এই ক্যারিবীয় বেশ কয়েকটি ম্যাচে দলকে ভাল শুরু দিয়েছেন গত বার। তাই ভরসা রাখা যেতেই পারে তাঁর উপরে।
সূর্যকুমার যাদব: দলের ইন ফর্ম ব্যাটসম্যান। ভাল ফর্মে থাকলে বিপক্ষের বোলারদের বিপাকে ফেলবেন এই প্রাক্তন নাইট।
দলে জায়গা পেতে পারেন ঈশান কিষান। উইকেটকিপার হিসাবে তাঁর দক্ষতা যাচাই করেও নেওয়া যাবে সে ক্ষেত্রে।
দলের ভারতীয় ক্রিকেটারদের উপর বড় দায়িত্ব এমনটাই বলেছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত। মিডল অর্ডারে সে ক্ষেত্রে ক্রুণাল পাণ্ড্য একটা বড় ভরসার জায়গা হতে পারেন। আইপিএলেও তাঁর রেকর্ড বেশ ভাল।
ছয় নম্বরে নামার কথা কিয়েরন পোলার্ডের। তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম আইপিএল থেকেই ভাল পারফর্ম করেছেন তিনি।
হার্দিক পাণ্ড্যর সাতে নামার কথা। গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার হিসেবে দলের অন্যতম ভরসা তিনি। বল,ব্যাট হাতে ঝলসে উঠবেন হার্দিক, মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
বেন কাটিং: সবচেয়ে গ্ল্যামারাস টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন বেন। বলের মতোই ব্যাট হাতে বিপক্ষ শিবিরকে ভয় ধরাতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার।
মিচেল ম্যাকক্লেনাঘানের নামার কথা নয় নম্বরে। নিউজিল্যান্ডের পেসার বল হাতে ঝলসে উঠবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আইপিএলে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৪/২১।
এর পর নামার কথা ২১ বছর বয়সে তারকা হয়ে ওঠা লেগ স্পিনার মায়াঙ্ক মার্কণ্ডের। মায়াঙ্কের গুগলি বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ-র ফাঁদে পড়েছিলেন ধোনিও। তাই তিনি বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বেগ দেবেন বলেই ধারণা।
যশপ্রীত বুমরা দলের বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র। কখনও পেস, কখনও সুইং, আবার কখনও বা তাঁর হাতের স্লোয়ার বিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে ঘাবড়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।