IPL 2020

চেজমাস্টার কোহালির ৭২, পাদিকালের ৬৩, জিতে শীর্ষে উঠে এল ব্যাঙ্গালোর

এই ম্য়াচ চিহ্নিত হচ্ছিল বিরাট কোহালি বনাম স্টিভ স্মিথের লড়াই হিসেবে। আর সেই লড়াইয়ে স্মিথকে টেক্কা দিলেন কোহালি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আবু ধাবি শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩২
Share:

জুটিতে লুটি। পাদিকালের সঙ্গে কোহালি। ছবি: বিসিসিআই।

দাপটে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। চার ম্যাচে তিন জয়ের পর আরসিবির পয়েন্ট এখন ছয়।

Advertisement

শনিবারই ছিল এ বারের আইপিএলের প্রথম দুপুরের ম্যাচ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে রাজস্থান রয়্যালস ছয় উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১৫৪। ১৯.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল আরসিবি (১৫৮-২)। পাঁচ বল বাকি থাকতে জয় এল আট উইকেটে। জয়ের নায়ক বোলিংয়ে যুজভেন্দ্র চহাল, ব্যাটে দেবদূত পাদিকাল ও বিরাট কোহালি।

যদিও ১৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। অ্যারন ফিঞ্চ (৭ বলে ৮) এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন শ্রেয়াস গোপালের বলে। ডিআরএস নিয়েছিল রাজস্থান। তাতেই আসে উইকেট। ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ব্যাঙ্গালোরকে আর সমস্যায় পড়তে হয়নি। মসৃণ ভাবে দলকে টানলেন দেবদূত পাদিকাল ও বিরাট কোহালি। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে ১৩.২ ওভারে যোগ করলেন ৯৯ রান। বাঁ-হাতি পাদিকালের পঞ্চাশ এল ৩৪ বলে। প্রতিযোগিতায় এটা তাঁর তৃতীয় পঞ্চাশ। ৪৫ বলে ৬৩ করে যখন জোফরা আর্চারের বলে তিনি বোল্ড হলেন, ততক্ষণে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ব্যাঙ্গালোর। পাদিকালের ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও একটি ছয়।

Advertisement

এ বারের আইপিএলে প্রথম তিন ম্যাচে রান পাননি কোহালি। ফলে চাপ ছিলই। কিন্তু, এদিন মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। ধীরেসুস্থে শুরু করে গতি বাড়ালেন পরে। ৪১ বলে পৌঁছলেন পঞ্চাশে। পাদিকাল যখন ফিরলেন, তখন ২৫ বলে আরসিবির দরকার ছিল ৩১ রানের। এবি ডিভিলিয়ার্সকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট এর পর শাসন করতে লাগলেন মাঠ। নিলেন চোখজুড়নো একের পর এক শট। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে অপরাজিত থাকলেন ৭২ রানে। তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি চার ও দুটো ছয়। ডিভিলিয়ার্স অপরাজিত থাকলেন ১০ বলে ১২ রানে।

তার আগে ব্যাট করতে নেমে যুজভেন্দ্র চহালের ঘূর্ণিতেই মাঝপথে দিশা হারিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। ২৪ রানে তিন উইকেট নিয়েছিলেন আরসিবি লেগস্পিনার। প্রতিযোগিতায় তাঁর উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল আট। আর রাজস্থানের হয়ে সর্বাধিক ৪৭ করলেন মহীপাল লোমরোর। যিনি শনিবারই প্রথম বার নামলেন এ বারের আইপিএলে। এক সময় মনে হচ্ছিল দেড়শোর এ পাশেই থাকবে রাজস্থান। কিন্তু রাহুল তেওয়াটিয়া (১২ বলে ২৪) ও জোফরা আর্চার (১০ বলে ১৬) শেষ পর্বে আগ্রাসী থাকায় লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল স্টিভ স্মিথের দল।

রাজস্থান ইনিংস শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল। ৪.১ ওভারে ৩১ রানের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, জস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন। উইকেট নিয়েছিলেন যথাক্রমে ইসুরু উদানা, নবদীপ সাইনি ও যুজভেন্দ্র চহাল। সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে ওঠা যায়নি।

আরও পড়ুন: ধোনির ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন! রেগে গেলেন সিএসকে কোচ ফ্লেমিং​

টস হওয়ার সময় তাপমাত্রায় ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। তবে ম্যাচের উত্তাপ আরও বাড়িয়ে তুলেছিলেন মুখোমুখি হওয়া দুই অধিনায়ক। এই ম্যাচ চিহ্নিত হচ্ছিল বিরাট কোহালি বনাম স্টিভ স্মিথের লড়াই হিসেবে। এই দু’জনেই বিশ্বক্রিকেটে এখন সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু, স্মিথ রান পেলেন না। পাঁচ বলে পাঁচ রান করে বোল্ড হলেন ইসুরু উদানার বলে।

২৭ রানে পড়েছিল রাজস্থানের প্রথম উইকেট। সেটাই ৩১ রানে হয়ে দাঁড়াল তিন উইকেট। পর পর ফিরলেন জস বাটলার (১২ বলে ২২) ও সঞ্জু স্যামসন (৩ বলে ৪)। এই পরিস্থিতে থেকে রবিন উথাপ্পা ও মহীপাল লোমরোর ৩৯ রান যোগ করে ইনিংস মেরামতে নেমেছিলেন।কিন্তু চহালকে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন উথাপ্পা (২২ বলে ১৭)। ৭০ রানে পড়ল রাজস্থানের চতুর্থ উইকেট।

আরও পড়ুন: ভুবির চোট কতটা গুরুতর, জানেন না অধিনায়ক ওয়ার্নার!​

সেখান থেকে রিয়ান পরাগের (১৮ বলে ১৬) সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৩৫ রান যোগ করেন লোমরোর। উদানার বলে ফেরেন পরাগ। লোমরোর ফিরলেন হাফ সেঞ্চুরির কাছে এসে। চহালকে মারতে গিয়ে ৩৯ বলে ৪৭ করে আউট হলেন তিনি। ১১৪ রানে পড়েছিল ষষ্ঠ উইকেট। সেখান থেকে তেওয়াটিয়া ও আর্চার অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৩.২ ওভারে যোগ করলেন ৪০ রান।

দুই দলই মুখোমুখি হওয়ার আগে পর্যন্ত খেলেছিল তিনটি ম্যাচ। তাতে জয় এসেছিল দুটোয়। কিন্তু, এদিনের জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে চলে এল ব্যাঙ্গালোর। আর চার ম্যাচে চার পয়েন্টে ছয় নম্বরে থাকল রাজস্থান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন