এ বারের আইপিএল-এ এখনও অবধি কোনও ম্যাচ হারেননি বিরাট কোহলী। তাঁদের বিরুদ্ধে রবিবার খেলতে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারের পর দলে পরিবর্তন করবেন অইন মর্গ্যানরা? দেখে নেওয়া যাক কেকেআর-এর সম্ভাব্য একাদশ।
শুভমন গিল: ২ ম্যাচ মিলিয়ে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ৪৮ রান। অন্য ওপেনার নীতীশ রানা কমলা টুপির অধিকারী। তাঁকে সঙ্গত দিতে শুভমনের ব্যাট থেকেও বড় রান চাইবেন নাইট সমর্থকরা।
নীতীশ রানা: এই মুহূর্তে দলের সেরা ব্যাটসম্যান তিনিই। ২ ম্যাচেই অর্ধ শতরান রয়েছে তাঁর দখলে। কোহলীদের বিরুদ্ধে জিততে হলে তাঁর ব্যাট থেকেই রবিবারও বড় রান অবশ্যই প্রয়োজন।
রাহুল ত্রিপাঠি: প্রথম ম্যাচে অর্ধ শতরান করলেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রান পাননি। কোহলীদের বিরুদ্ধে যদিও তেমনটা চাইবেন না রাহুল।
দীনেশ কার্তিক: তাঁর ব্যাট থেকে বড় রানের আশায় সমর্থকরা। দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তিনি। কার্তিক রান পেলে মিডল অর্ডার নিয়ে কলকাতার চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে।
অইন মর্গ্যান: এ বারের আইপিএল-এ শুরু থেকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। বিশ্বজয়ী অধিনায়কের ব্যাটেও রান নেই। দলকে জেতাতে তাঁকে ব্যাট হাতেও দায়িত্ব নিতে হবে।
আন্দ্রে রাসেল: বল হাতে গত ম্যাচে বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন। আরসিবি-র মতো দলের বিরুদ্ধেও বোলার রাসেলকে চাইবে কলকাতা।
শাকিব আল হাসান: ব্যাটে বলে এখনও সেই ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে তিনি ছন্দে থাকলে একার হাতেই ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারেন অনায়াসেই।
হরভজন সিংহ: তাঁকে ২ কোটি টাকা দিয়ে দলে নিয়েছে কলকাতা। যদিও এখনও অবধি তাঁকে দিয়ে ৪ ওভারের কোটাই পূরণ করা যায়নি।
প্যাট কামিন্স: দলের প্রধান বোলার তিনিই। ঝুলিতে ইতিমধ্যেই ৩টি উইকেট। কোহলীদের বিরুদ্ধে কি তিনি পারবেন উইকেট নিতে?
প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ: ভারতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা আরও পরিণত করেছে তাঁকে। কলকাতার নিয়মিত পেসার এখন তিনি। দল তাঁর ওপর যে ভরসা রেখেছে উইকেট নিয়ে তার সম্মান রাখতে হবে তাঁকেও।
বরুণ চক্রবর্তী: গত বারের আইপিএল-এ নিয়মিত উইকেট পাচ্ছিলেন এই বিস্ময় স্পিনার। এ বার যদিও সেই যাদু দেখা যাচ্ছে না। এখনও অবধি নিয়েছেন মাত্র একটি উইকেট।