IPL 2023

‘তোর লজ্জা করে না? ফোনও করলি না! মরেছি না বেঁচে আছি’, কাকে নিয়ে হঠাৎ অভিমানী ইশান্ত?

শততম টেস্ট খেলার পর ভারতীয় ক্রিকেটের মূল স্রোত থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। চোটের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে কিছু দিন। ফিরে আসার সেই গল্প বলেছেন ইশান্ত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:০৬
Share:

দীর্ঘ দিন পর আবার চেনা ছন্দে দেখা যাচ্ছে ইশান্তকে। ছবি: টুইটার।

অসুস্থ থাকায় দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এ বারের আইপিএলের প্রথম কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা। প্রবল জ্বরে হোটেলের ঘরে এক রকম বন্দি ছিলেন। দলের সকলে নিয়মিত তাঁর খবর রাখলেও অক্ষর পটেল কোনও খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ ইশান্তের।

Advertisement

ইশান্ত প্রকাশ্যেই বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে দু’কথা শুনিয়ে দিয়েছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের দুই ক্রিকেটারের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। যা সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে আইপিএলের দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। একটু সুস্থ হওয়ার পর খাবারের ট্রে নিয়ে অক্ষরের ঘরে যান ইশান্ত। বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে তিনি বলেন, ‘‘তোর কি একটু লজ্জাও করে না। এক বার ফোনও করলি না! মরে গিয়েছি না বেঁচে রয়েছি, এক বার জানতেও চাইলি না?’’ ইশান্তের মুখে এমন অনুযোগ শুনে অক্ষর বলেন, ‘‘আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করছিলাম। আমার প্রার্থনা তোমার জন্য জাদুর মতো কাজ করেছে। তার প্রমাণ তুমি প্রথম ম্যাচেই পেয়েছ। ১ লাখ টাকার পুরস্কারও জিতেছ।’’

এর পর ইশান্তের কাছে অক্ষর জানতে চান, তাঁর এ ভাবে ফিরে আসার রহস্য। অক্ষর বলেন, ‘‘২০২১ সালে ১০০তম টেস্ট খেলার পর তুমি আস্তে আস্তে হারিয়ে গিয়েছিলে। কী করে আবার ফিরে এলে?’’ ইশান্ত তরুণ সতীর্থকে বলেন, ‘‘পর্দার আড়ালে আমি কঠিন পরিশ্রম করেছি এই সময়। এত দিন ক্রিকেট খেলেও যে বিষয়গুলোয় তেমন উন্নতি করতে পারিনি, সেগুলোর জন্য অনেক সময় দিয়েছি। যেমন কিছু টেকনিক্যাল দিক রয়েছে। আগে খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। সেটার কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছি। নিজের বোলিং নিয়ে এক জনের সঙ্গে কথা বলেছি। নিজের উন্নতির জন্য অনেক সময় খরচ করেছি। পরিশ্রম করেছি। বোলিংয়ের উন্নতি করে এ ভাবে ফিরে আসতে পেরে আমি খুশি।’’

Advertisement

ইশান্ত কৃতিত্ব দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীকে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘এই রকম সময় স্ত্রী বা পরিবারের সদস্যদের সাহায্য খুব দরকার হয়। হতাশার সময় পাশে এমন কয়েক জন মানুষকে দরকার হয়, যাঁরা অন্তত তোমার কথা শুনবে। যখন চোট পেয়েছি বা দিনের পর দিন দলে নির্বাচিত হইনি, তখনও স্ত্রীকে পাশে পেয়েছি। কখনও আমাকে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেনি। আমাকে সব সময় বলেছে, ‘যত দিন তোমার শরীর সঙ্গ দেবে এবং সর্বোচ্চ পর্যায় খেলার বিশ্বাস থাকবে তত দিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাও।’ আমার স্ত্রীও খেলোয়াড়। তাই বিষয়গুলো খুব সহজে বুঝতে পারে। খেলার মধ্যে থাকা এবং মাঠ থেকে দূরে থাকার যে পার্থক্য, সেটা বুঝতে পারে।’’

টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে প্রথম জয় পেয়েছিল দিল্লি। কেকেআরের বিরুদ্ধে ৭০০-র বেশি দিন পর আইপিএলের কোনও ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ইশান্ত। জ্বর থেকে উঠে মাঠে নেমেই ৩ উইকেট নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ জোরে বোলার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন