IPL 2022

IPL 2022: ফিট থাকতে কোহলী জিমে কী করেন? জেনে নিন

শঙ্কর জানিয়েছেন, কোহলী প্রধানত মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য পরিশ্রম করেন জিমে। তার জন্য ভার তুলতে হয় তাঁকে। টি২০ ক্রিকেটের জন্য শারীরিক ক্ষমতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকতে হয়। সেই চেষ্টা করেন কোহলী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ১৪:৫৫
Share:

কোহলীর ফিটনেসের রহস্য কী ফাইল চিত্র

ভারতীয় ক্রিকেটে ফিটনেসের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন বিরাট কোহলী। ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য তাঁর আমলেই শুরু হয়েছে ইয়ো ইয়ো টেস্ট। কী ভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক, জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বর্তমান ট্রেনার শঙ্কর বসু।
ভারতীয় ক্রিকেট দলে যখন ঢুকেছিলেন তখন কোহলীর শারীরিক গঠন বেশ ভারী ছিল। গোলগাল চেহারার কোহলী বদলে গেলেন ২০১২ সালের পর থেকে। শুধু খাদ্যাভ্যাসে বদল নয়, তার সঙ্গে শুরু হয় কঠিন পরিশ্রম। প্রতি দিন নিয়ম মেনে জিমে যাওয়া শুরু করেন তিনি। প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন বিরাট। কয়েক মাসের মধ্যে ছিপছিপে চেহারার কোহলীকে পায় ভারতীয় ক্রিকেট।

Advertisement

কোহলীর মন্ত্র, কোনও ক্রিকেটার ব্যাটে বা বলে অবদান রাখতে না পারলেও তাঁর ফিটনেস ভাল থাকলে ফিল্ডিংয়ে প্রতি ম্যাচে দলের কাজে আসবেন তিনি। শুধু বাকি ক্রিকেটারদের ফিট থাকার পরামর্শ দেওয়া নয়, নিজেও প্রতি দিন পরিশ্রম করেন। প্রিয় ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো তিনিও চান যখন মাঠে নামবেন, তখন যেন শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ তরতাজা থাকেন।

কোহলীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন জিমে সময় কাটিয়েছেন শঙ্কর। কোহলীকে কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। শঙ্করের কথায়, ১৯-২০ বছর বয়সের কোহলীর সঙ্গে এখনকার কোহলীর কোনও তফাৎ নেই। এখনও জিমে এসে একই ভাবে পরিশ্রম করেন তিনি। তাঁর পরিশ্রমের মাত্রা তো কমেইনি বরং বয়স বাড়ার সঙ্গে তা বেড়েছে। তাঁকে দেখে উৎসাহ পান বাকি ক্রিকেটাররা।

Advertisement

শঙ্কর জানিয়েছেন, কোহলী প্রধানত মাংসপেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য পরিশ্রম করেন জিমে। তার জন্য ভার তুলতে হয় তাঁকে। টি২০ ক্রিকেটের জন্য শারীরিক ক্ষমতা চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকতে হয়। সেই চেষ্টা করেন কোহলী। সামনে টি২০ বিশ্বকাপ রয়েছে। তাই মূলত দৈহিক ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্ষিপ্রতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ নেন তিনি।

কোহলীর ফিটনেসের মন্ত্র হল, ‘পুষ্টিকর খাবার খাও, ভাল করে ঘুমোও, কঠিন পরিশ্রম করো’। প্রতি দিন একই রুটিন মেনে চলেন তিনি। তাতে কোনও দিন ছেদ পড়েনি। শরীর ঠিক রাখতে যেমন পছন্দের পঞ্জাবি খাবার বাদ দিয়েছেন, তেমনই শরীরের প্রতিটি অঙ্গের দিকে সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। দলে তরুণ ক্রিকেটারদেরও ফিটনেসে টেক্কা দেন কোহলী। এখনও ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করতে দেখা যায় তাঁকে। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে শেষ ওভার পর্যন্ত উইকেটের মধ্যে একই গতিবেগে দৌড়তে পারেন। ক্লান্তি গ্রাস করে না কোহলীকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন