হাবাসের দলকে ছুঁয়ে ফেলল জামশেদপুর

গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে নামার আগে এ দিন দু’দলের সামনে দু’টো লক্ষ্য ছিল। ম্যাচ জিতলে জামশেদপুর ছুঁয়ে ফেলবে লিগ শীর্ষে থাকা এটিকে-কে। আর গোয়ার সামনে সুযোগ ছিল লোপেস আন্তোনিয়ো হাসাবের দলকে টপকে যাওয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪২
Share:

দুর্ভেদ্য: গোয়ার জয়রথের রাশ টানল সুব্রত পালের বিশ্বস্ত হাত। আইএসএল

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে মঙ্গলবার ম্যাচের ফল কী? যে ছবি উঠে আসছে তা হল, জামশেদপুরের সুব্রত পালের কাছে হারলেন গোয়ার ফেরান কোরামিনাস।

Advertisement

গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে নামার আগে এ দিন দু’দলের সামনে দু’টো লক্ষ্য ছিল। ম্যাচ জিতলে জামশেদপুর ছুঁয়ে ফেলবে লিগ শীর্ষে থাকা এটিকে-কে। আর গোয়ার সামনে সুযোগ ছিল লোপেস আন্তোনিয়ো হাসাবের দলকে টপকে যাওয়ার। শেষ পর্যন্ত আন্তোনিও ইরোন্দোই হাসি মুখে মাঠ ছাড়লেন। গোল পার্থক্যে শীর্ষে না উঠতে পারলেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন সুব্রত পাল, তিরিরা। এটিকে এবং জামশেদপুরের পয়েন্ট এখন সমান—১০। প্রতিযোগিতায় প্রথম হার গোয়ার। অপরাজিত থাকার মুকুট আর থাকল না কোরোদের। তাঁদের দল নেমে গেল চার নম্বরে।

গোয়ার স্ট্রাইকার কোরামিনাস বা কোরো এ বার দারুণ ফর্মে রয়েছেন। চার ম্যাচে তিন গোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। সে জন্যই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন জামশেদপুরের স্পেনীয় কোচ ইরিন্দো। তিরি, নরেন্দ্র গেহলট, জিতেন্দ্র সিংহদের নিয়ে গড়া রক্ষণ তাই শুরু থেকেই সতর্ক ছিল গোয়ার আক্রমণ রুখতে। আর সতর্ক ছিলেন দুরন্ত ফর্মে থাকা এ বারের আইএসএলের সফল জামশেদপুরের গোলকিপার সুব্রত। কিন্তু প্রথমার্ধের সতেরো মিনিটেই দলকে চাপমুক্ত করে দেন সের্খিয়ো ক্যাসেল। আতলেতিকো মাদ্রিদের ‘বি’ দলে খেলে আসা এই স্পেনীয় স্ট্রাইকারকে বল বাড়িয়ছিলেন ফারুক চৌধরি। এই গোলটাই যেন আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয় শিল্পনগরীর ক্লাবকে। বিরতিতে ফল ছিল ১-০। সেটা আর বদলায়নি মূলত জামশেদপুর রক্ষণ আর সুব্রত পালের জন্য। গোয়া আরও চাপে পড়ে যায় আহমেদ জোহু লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায়। ৭২ মিনিটে বিশ্রী ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে তিনি বেরিয়ে যাওয়ায় সের্খিয়ো লোবোরোর দল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

Advertisement

তবে গোলের জন্য কম চেষ্টা করেনি গোয়া। প্রচুর সুযোগও পেয়েছিল তারা। একা কোরো বা এদু বেদিয়াই নন, জ্যাকিচন্দ সিংহ থেকে মন্দার রাও দেশাই বা মনবীর বারবার চাপে ফেলে দিয়েছেন জামশেদপুরকে। অন্তত তিনটি দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বাঁচান সুব্রত। ম্যাচের সেরা ফুটবলার ছিলেন সোদপুরের মিষ্টু। গোলের সুযোগ পেয়েছিল জামশেদপুরও। তাদের ফারুক চৌধরি, সি কে বিনীতরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়তে পারত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন