ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের চিন্তা বাড়ল, না কমল?
উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামার আগের দিন কোনও বিদেশি ফুটবলার হাতে পেলে কি তাঁকে মাঠে নামানো উচিত?
শনিবার আইজল এফসি-র বিরুদ্ধে আই লিগ শুরু করার আগে ইস্টবেঙ্গলে ঘুরপাক খাচ্ছে এই প্রশ্নই। সঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়েছে হঠাৎ উধাও হওয়া ফিজিও সাইমন মলটবিকে নিয়ে।
হাইতি স্ট্রাইকার ওয়েডসন অনুশীলনে করছেন প্রায় শুরু থেকেই। বুকেনিয়া এ দিনই পৌঁছলেন শহরে। উগান্ডা স্টপারের বৃহস্পতিবারই সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুশীলনে নামার কথা। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর স্ট্রাইকার উইলিস প্লাজা বিমান ধরলেন বুধবার রাতে। শনিবারের ম্যাচের আগের দিন তিনি ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে নামবেন। লাল-হলুদ কোচ হিসেব মতো তিন বিদেশি পাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু তাঁদের দিয়ে প্রথম ম্যাচেই কতটা কাজ হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। মর্গ্যান এ নিয়ে মুখ খোলেননি। আর এ বার টিম করেছেন যিনি সেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলে দিলেন, ‘‘সবাই ম্যাচ খেলা ছেলে। খেলার মধ্যে রয়েছে। প্লাজা তো ছয়-সাত দিন আগেও খেলেছে। ওদের নামানো হবে কি না ঠিক করবেন কোচই।’’
প্রায় প্রতি বছর ইস্টবেঙ্গলে এক বা দু’জন পুরনো বিদেশি থাকেনই। কলকাতা লিগ খেলিয়ে যাঁদের দেখে নেওয়া হয়। এ বার ছিলেন একজন —ডু ডং। তাঁকে বাতিল করে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ। তাই বহু বছর পর ইস্টবেঙ্গলে উলটপুরাণ। সব নতুন বিদেশি নিয়ে নামতে হবে। যাঁদের আগে ভারতেই খেলতে দেখা যায়নি। তাঁরা সফল হবেন কি না সেটা তাই বড় প্রশ্ন। তা ছাড়াও এ বার স্বদেশি ফুটবলার ছাঁটাই করে নতুন ফুটবলার নেওয়া হয়েছে প্রচুর। সৌমিক দে, অভ্র মণ্ডল, হরমনজিৎ খাবরার মতো ফুটবলারকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন অনুশীলনে যোগ দিলেন হাওকিপ। তাঁর মতোই রোমিও ফার্নান্ডেজ, জ্যাকিচন্দ সিংহ, রাওলিন বর্জেস—যাঁরা কখনও কলকাতায় খেলেননি। বড় ক্লাবের সমর্থকদের চাপ নেননি কখনও। সেটা বড় পরীক্ষা মর্গ্যানের।
গোদের উপর বিষফোঁড়া আবার ফিজিওর না জানিয়ে চলে যাওয়া। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক। পড়শি ক্লাব মোহনবাগানের সাফল্যের পিছনে ব্রাজিলিয়ান ফিজিও গার্সিয়ার অবদান অনেক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। গার্সিয়ার পারফরম্যান্সও সেটা দেখাচ্ছে। এখানেই নাকি পিছিয়ে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল। লিগের শেষ দিকে ফুটবলারদের চোট-আঘাত তাই ভুগিয়েছে লাল-হলুদকে। এ বার ফিজিও এনেও ছবিটা আপাতত উজ্জ্বল নয়। যখন ফিজিও সবচেয়ে বেশি দরকার তখনই উধাও মর্গ্যানের ফিজিও। ১৯ দিনের অনুশীলনে ১০ দিন পাওয়া গিয়েছে তাঁকে। ফলে চোট পাওয়া অর্ণব মণ্ডল, মেহতাব হোসেনের মতো ফুটবলাররা ফিট হয়ে উঠতে সমস্যা পড়েছেন। সমস্যার সমাধান কী ভাবে হবে, বুঝে উঠতে পারছেন না কর্তারা। মর্গ্যানের সঙ্গে এ ব্যাপারে দু’একদিনের মধ্যেই কর্তারা বসছেন বলে খবর।
চার নম্বর বিদেশি এখনও চ়ূড়ান্ত হলনি। ফিজিও উধাও। আই লিগের শুরুতেই এ সব সমস্যার মধ্যেও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা অবশ্য আশাবাদী আই লিগে ভাল ফল হবে। ফুটবল সচিব বললেন, ‘‘কোচের মত নিয়ে যা করার সব করেছি। এ বার কাজ ওদের। আই লিগটা দিক টিম।’’