Sports News

সবরমতী নদীতে পাওয়া গেল বুমরাহর দাদুর দেহ

রবিবার হঠাৎই সবরমতী নদীতে ভেসে ওঠে এক ব্যাক্তির দেহ। গাঁধী ব্রিজ ও দধিচি ব্রিজের মাঝ থেকে অমদাবাদ ফায়ার ও ইমার্জেন্সি সার্ভিস সন্তোক সিংহর দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমদাবাদ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৫৬
Share:

জসপ্রিত বুমরাহ। —ফাইল চিত্র।

বেশ কয়েক মাস আগেই জসপ্রিত বুমরাহর দাদু কথা প্রকাশ্যে আসে। সন্তোক সিংহ বুমরাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন নাতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও তিনি পারেননি। তার পর আর শোনা যায়নি তাঁর কথা। রবিবার হঠাৎই সবরমতী নদীতে ভেসে ওঠে এক ব্যাক্তির দেহ। গাঁধী ব্রিজ ও দধিচি ব্রিজের মাঝ থেকে অমদাবাদ ফায়ার ও ইমার্জেন্সি সার্ভিস সন্তোক সিংহর দেহ উদ্ধার করে। পরে জানা যায় এই ব্যাক্তি জসপ্রিত বুমরাহর দাদুর।

Advertisement

৮৪ বছরের সন্তোক সিংহ অমদাবাদরে গিয়েছিলেন নাতির সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু শুক্রবার থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ ছিলেন। তাঁর পরিবার সূত্রে তেমনটাই জানানো হয়েছে। অমদাবাদ মিররের রিপোর্ট অনুযায়ী , সন্তোক সিংহকে তাঁর মেয়ের অ্যাপার্টমেন্ট সোনালে দেখা গিয়েছিল ১ ডিসেম্বর।

অভিযোগে জানানো হয়েছে, তিনি ৫ ডিসেম্বর জসপ্রিতের জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেখা করতে পারেননি। ৮ ডিসেম্বর সন্তোক ঝাড়খণ্ডে তাঁর ছেলে বলবিন্দর সিংহকে ফোন করেন। আর বলেন, তিনি তাঁর মৃত স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন

ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতের সর্বনিম্ন ৯ ইনিংস

আইপিএল-এর মধ্যে হবে না কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ

উত্তরাখণ্ডের কিচচা গ্রামে অটো চালাতেন সন্তোক সিংহ বুমারহ। এক সময় বড় ব্যবসায়ীও ছিলেন তিনি। কিন্তু জসপ্রিতের বাবার মৃত্যুর পর সেই ব্যবসা খারাপ হতে শুরু করে। সন্তোষ সব বিক্রি করে উত্তরাখণ্ডে চলে যান। এর পর নাতিকে টেলিভিশনে দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

সন্তোকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা যখন জসপ্রিতের মা দলজিৎ কাউর যে স্কুলে পড়ান সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন তখন তিনি ছেলের সঙ্গে দেখা করাতে চাননি। ফোন নম্বরও দিতে চাননি। তাতে খুব কষ্ট পেয়েছিলেন সন্তোক। শুক্রবার দুপুরে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। তার পর থেকে আর ফেরেনি। জসপ্রিতের বোন জুহিকাকেও ফোন করেছিলেন সন্তোক বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

জসপ্রিত এই মুহূর্তে ধর্মশালায় রয়েছে। ভারতের হয়ে ওয়ান ডে খেলতে। তার মধ্যেই এই খবর। জসপ্রিতের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন