বিরল: দোহায় কিংবদন্তি জাভির পাশে বিজয়ন। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব
ভারতীয় ফুটবলে তাঁরা ছিলেন অন্যতম সেরা জুটি। খেলা ছাড়ার পরেও আই এম বিজয়ন-জো পল আনচেরির সম্পর্ক অটুট। বৃহস্পতিবার রাতে দোহায় জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে একসঙ্গে বসেই দেখলেন জাভি হার্নান্দেজের খেলা।
আল আহিলকে ৭-২ চূর্ণ করে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় আল সাদ। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই জাভির সঙ্গে দেখা করার জন্য ড্রেসিংরুমের সামনে চলে গিয়েছিলেন বিজয়ন। প্রাক্তন বার্সেলোনা তারকা শুধু দেখাই করেননি, ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারকে নিজের জার্সিও উপহার দেন। শুক্রবার দোহা থেকে ফোনে উচ্ছ্বসিত বিজয়ন আনন্দবাজারকে বললেন, ‘‘দুবাই ও দোহায় আমার প্রচুর বন্ধু রয়েছে। মাঝেমধ্যেই ওদের আমন্ত্রণে যাই। কিন্তু কখনও জাভির খেলা দেখা হয়নি। এ বার যখন প্রদর্শনী ম্যাচ খেলার জন্য আমাকে ও আনচেরিকে আমন্ত্রণ জানায় দোহার এক বন্ধু, ঠিক করি জাভির খেলা দেখতেই হবে।’’
বিশ্বকাপজয়ী স্প্যানিশ কিংবদন্তির সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন? বিজয়ন বললেন, ‘‘অসাধারণ। জাভির প্রচুর খেলা দেখেছি। কিন্তু কখনও কথা বলার সুযোগ হয়নি। তাই কিছুটা সংশয় ছিল। যদি এড়িয়ে যান। আমার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ছিল।’’ তিনি যোগ করলেন, ‘‘দোহাবাসী আমার বন্ধুর সঙ্গে আল সাদের শীর্ষ কর্তাদের খুব ভাল সম্পর্ক। ওঁরাই জাভির সঙ্গে আমার পরিচয় করে দেন। আমার সঙ্গে ছবি তোলেন, জার্সিও উপহার দেন বার্সেলোনা তারকা।’’ কী বললেন জাভি? হাসতে হাসতে বিজয়ন বললেন, ‘‘স্প্যানিশ ভাষায় কী বললেন বুঝতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম, লিয়োনেল মেসি ও আন্দ্রে ইনিয়েস্তাকে নিয়ে কথা বলব। কিন্তু ভাষা সমস্যায় তা হল না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজয়ন অভিভূত ২০২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি দেখেও। বললেন, ‘‘পুরো দেশটাই বিশ্বকাপের জন্য দুর্দান্ত ভাবে সেজে উঠেছে। শুনলাম, প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।’’ সেই সঙ্গে শুনিয়ে রাখলেন, কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা। বললেন, ‘‘রাশিয়াতেও বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছিলাম। কাতারেও যাব।’’
বিদেশে থাকলেও জবি জাস্টিনের সই বিতর্ক থেকে সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চেন্নাই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর হার— ভারতীয় ফুটবলের সব খবরই রয়েছে বিজয়নের কাছে। ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে কি ঠিক করেছেন জবি? বিজয়ন বলছেন, ‘‘প্রত্যেকেরই নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলা উচিত নয়।’’ কিন্তু এটিকে-তে কি তিনি নিয়মিত সুযোগ পাবেন? বিজয়ন বলছেন, ‘‘লড়াইটা একটু কঠিন তো বটেই। নতুন জায়গায় শুধু মানিয়ে নিলেই হবে না। নতুন করে সব কিছু শুরু করতে হবে। আশা করি, এটিকে-তেও সফল হবে জবি।’’ জানালেন, সুপার কাপে বেঙ্গালুরু এফসি-র হারে বিস্মিত নন। বললেন, ‘‘আই লিগে চেন্নাই দুর্দান্ত খেলেছে। পেদ্রো মানজ়ি, নেস্তর গর্দিলোর মতো ফুটবলার রয়েছে যে দলে, তাদের কখনও দুর্বল মনে করা উচিত নয়।’’