দলের ফুটবলারদের নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মোরিনহো। ছবি: এএফপি
জোসে মোরিনহোর রাগ কিছুতেই কমছে না। ম্যাচ হারলে তিনি যতটা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছেন, ম্যাচ জিতলেও সেই একই রকম মেজাজে দেখা যাচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজারকে।
রবিবার এফ এ কাপের সেমিফাইনালে ওঠার পরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ফুটবলারদেরই আক্রমণ করে বসলেন মোরিনহো। সরাসরি অভিযোগ করলেন, ‘‘ফুটবলারদের কোনও ব্যক্তিত্ব নেই, কোনও ক্লাস নেই। ওদের মধ্যে আমি কোনও তাগিদ দেখতে পাচ্ছি না।’’ যে ম্যাচে ম্যান ইউনাইটেড ২-০ গোলে হারাল ব্রাইটন-কে।
ম্যাচ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে মোরিনহো সাংবাদিক বৈঠকে এসে একটি লিখিত বিবৃতি পড়ে শুনিয়েছিলেন। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, চমকের হয়তো ওখানেই শেষ। কিন্তু দেখা গেল, ব্রাইটনের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরে আরও বড় চমক অপেক্ষা করে আছে। ম্যাচে গোল করেছিলেন রোমেলু লুকাকু এবং নেমানিয়া মাতিচ। এই দু’জন এবং তরুণ ফুটবলার স্কট ম্যাকটমিনে-কে শুধু ছাড় দিয়েছেন মোরিনহো। বাকি সবাই তাঁর আক্রমণের মুখে পড়েছেন।
দিন কয়েক আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেভিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ম্যান ইউনাইটেড। মোরিনহো বলে আসছিলেন, সেই হারের পরে ফুটবলারদের মধ্যে একটা আগুন দেখতে চান তিনি। কিন্তু ব্রাইটন ম্যাচের পরে ম্যান ইউনাইটেড ম্যানেজার পরিষ্কার বলে দেন, ‘‘আমি ফুটবলারদের খেলায় একদমই খুশি নই। হ্যাঁ, ম্যাচের ফলে আমি খুশি। কিন্তু ফুটবলারদের থেকে আমি মাঠে যে প্রতিক্রিয়াটা আশা করেছিলাম, সেটা একদমই পাইনি। তবে সবাই সে রকম ছিল না। কয়েক জনকে দেখে মনে হয়েছে, ওরা জিততে নেমেছে। ওদের মধ্যে একটা তাগিদ আছে। সেই কারণেই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’’
তিনি যে কোন কোন ফুটবলারদের পছন্দ করছেন, তাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে মোরিনহোর কথায়। ‘‘মাঝে মাঝে আমার মনে হচ্ছিল, মাতিচ একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে গিয়েছে। একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যার মধ্যে তাগিদ আছে, ব্যক্তিত্ব আছে। কিন্তু ওকে ঘিরে আছে কিছু ব্যক্তিত্বহীন ফুটবলার। যাদের ক্লাসও নেই, জেতার তাগিদও নেই।’’ মোরিনহো মনে করেন, দলের তরুণ ফুটবলার ম্যাকটমিনে খারাপ খেললেও তাঁর মধ্যে একটা তাগিদটা ছিল। মোরিনহোর বক্তব্য, ‘‘কেউ একজন খারাপ খেলতেই পারে। কিন্তু তার মধ্যে যদি ম্যাচ জেতার তাগিদটাই না থাকে, সে যদি খেলতে ভয় পায়, তা হলেই সমস্যা। যেটা আমি দলের অনেক ফুটবলারের মধ্যে দেখতে পেলাম।’’