লরেন্স বিষ্ণোই। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এক সপ্তাহের মধ্যে খুন দ্বিতীয় কবাডি খেলোয়াড়। পঞ্জাবের লুধিয়ানার সামরালা ব্লকে গুরবিন্দর সিংহ নামে জাতীয় স্তরের এক খেলোয়াড়কে খুনের অভিযোগ উঠেছে লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
গত ৩১ অক্টোবর তেজপাল সিংহ নামে আর এক খেলোয়াড়কে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দুষ্কৃতীরা। এক সপ্তাহের মধ্যে এমন দু’টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তেজপালকে বচসার পর গুলি করা হয়েছিল। গুরবিন্দরের ক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। তাঁকে সরাসরি গুলি করা হয়েছে। আহত, রক্তাক্ত খেলোয়াড়কে ঘটনাস্থলেই ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছোনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
সমাজমাধ্যমে খুনের দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠী। ঘটনার কিছুক্ষণ পর সমাজমাধ্যমে আনমোল বিশ্নোই নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে দায় স্বীকার করা হয়। তাতে বলা হয়, কর্ণ মাদপুর এবং তেজ চাক নামে পরিচিতি গোষ্ঠী সহযোগীরা খুন করেছে। হুমকির সুরে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের শত্রুদের জন্য এটি একটি বার্তা। হয় নিজেকে শুধরে নিন। নয়ত পরের বুলেট খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’ তদন্তকারীদের অনুমান, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে হ্যারি বক্সার এবং আরজু বিশ্নোই। দু’জনেই পলাতক। বিদেশ থেকে তারা লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠী পরিচালনা করে।