আলোচনা: অনুশীলনে খালিদ ও সনি। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
সনি নর্দে গ্লাভস হাতে শেষ পর্যন্ত গোলেই দাঁড়িয়ে পড়লেন! কিছু শটও রুখলেন! দলের রক্ষণের হাল বোঝাতে মঙ্গলবার সকালের মোহনবাগান অনুশীলনের শেষের এই দৃশ্য প্রতীকী হতেই পারে।
ডার্বি হারের পরে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ক্লাব তাঁবুতে ফুটবলারদের নিয়ে লম্বা সভা করছিলেন খালিদ জামিল। সেখান থেকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে হনহন করে তাঁবু ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন ইউতা কিনোয়াকি। জাপানি মিডিয়োর চোখে মুখে হতাশা। বোঝাই গেল, আজ বুধবার যুবভারতীতে গোকুলমের বিরুদ্ধেও তিনি নেই। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সেটা বলেও দিলেন ইউতাদের কোচ।
দুপুর দু’টো। খালিদ ছাড়া সব ফুটবলার বেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁবুর বাইরে জনা পনেরো সবুজ-মেরুন সমর্থক তখনও দাঁড়িয়ে। না, কোনও ফুটবলারের সঙ্গে নিজস্বী তোলার জন্য নয়, টিকিটের জন্য অপেক্ষমান ওঁরা। ছেপেই আসেনি টিকিট! খেতাব থেকে ছিটকে যাওয়া দল সম্পর্কে কর্তাদের মনোভাব এখন কী, সেটা বোঝা যায় পরিস্থিতি দেখলেই। এই আবহেও যুবভারতীতে আজ মোহনবাগান বনাম গোকুলম ম্যাচ নিয়ে অন্য আগ্রহ আছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। তা হল এক) সুপার কাপে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র জোগাড় করতে শেষ চারে থাকতেই হবে মোহনবাগানকে। জয়ে ফেরাটা তাই জরুরি। দুই) অবনমনে চলে যাওয়া গোকুলম বাঁচার জন্য মরিয়া লড়াই করবেই। সে জন্য ছয় জন বিদেশি নিয়ে কলকাতা এসেছে তারা। যাঁদের একজন ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর নতুন স্ট্রাইকার মার্কোস জোসেফ। যিনি শেষ দুটি ম্যাচে দুটি গোল করেছেন শুধু নয়, এ দিন মোহনবাগান তাঁবুতে বসে বলে গেলেন, ‘‘কাল ওদের রক্ষণ বুঝতে পারবে আমি কে?’’
এই অবস্থায় মোহনবাগান কী ভাবছে? খালিদ তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বলে দিলেন, ‘‘আমার মাথায় কোনও অঙ্ক নেই। কোনও লক্ষ্যের কথাও বলব না। ডার্বিতে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। খিদে না থাকায় হেরেছি। জয়ে ফেরার লক্ষ্য নিয়েই নামব।’’ জেতার জন্য সনি নর্দেদের কোচ কী করবেন তা অবশ্য এ দিনের অনুশীলনে বোঝা যায়নি। যা খবর, তাতে ডার্বিতে খেলা দলে দু’তিনটে বদল হতে পারে। ফিরতে পারেন অরিজিৎ বাগুই, শিল্টন ডি’সিলভাদের মতো কেউ। খালিদ বলে দিয়েছেন, ‘‘ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে সুযোগ দেব।’’ পাশাপাশি আইজলকে আই লিগ দেওয়া কোচ স্বীকার করে নেন, তাঁর দল আর খেতাবের লড়াইয়ে নেই। বলে দিলেন ‘‘লিগ টেবলের প্রথম চার-পাঁচে থাকা কোনও দল হয়তো খেতাব জিতবে।’’ কেরলের দল গোকুলম দশ দিন আগে কোচ বদল করেছে। আইজল এফ সি থেকে ছাঁটাই হওয়া কোচ গিফট রাইখানকে নিয়েছে তাঁরা। রাইখান বললেন, ‘‘আমি আসার পরে দু’টো ম্যাচের একটাতেও হারেনি দল। এখানেও তিন পয়েন্ট নিতে এসেছি।’’