শামির বলে দু’টুকরো হয়ে গেল কুকের স্টাম্প। শুক্রবার বিশাখাপত্তনমে। -শঙ্কর নাগ দাস
এই টেস্ট ম্যাচে টস জেতার গুরুত্ব সবাই বুঝেছিল। ভারত নিশ্চয়ই তাদের অধিনায়ককে ধন্যবাদ দিচ্ছে, সঠিক কলটা নেওয়ার জন্য। এটার কারণ হল পিচের চরিত্র। বিশাখাপত্তনমের উইকেট শুকনো, আর সেখানে যথেষ্ট টার্নও আছে। টেস্ট যত এগোবে, পিচের অবস্থা ততই খারাপ হবে। এই পিচে তৃতীয় বা চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা মানে বিশাল ব়ড় চ্যালেঞ্জ। সেই প্রেক্ষিতে সহজেই বলা যায়, ভারত যে রানটা করেছে সেটা বিশাল। রাজকোটে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড যা করেছিল, তার সমান সমান।
যার কৃতিত্ব প্রাপ্য ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালির। বিরাট যখন ব্যাট করতে নেমেছে, তখন ভারত ২২-২। পূজারা আর ও মিলে ইনিংসটা এগিয়ে নিয়ে গেল। ওরা অসাধারণ ব্যাটিংই শুধু করেনি। এটাও দেখিয়েছে যে, টিমকে কী ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। বিরাটের ইনিংসটা তো অনবদ্য। ও এক বারের জন্যও ইংরেজ বোলিংকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়নি। পূজারাও নতুন করে প্রমাণ করে দিয়েছে, তিন নম্বরে ও কেন এত গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত উইকেট পড়ে গেলে পূজারা তিনে নেমে দলকে ভরসা তো দেয়ই, সঙ্গে নিজের উইকেটের উপর চড়া দামও রাখে।
ইংল্যান্ড ভাল কামব্যাক করে ভারতীয় ইনিংসটা আটকেছিল। রশিদ আর আনসারির বদলে মইন আলিকে প্রধান স্পিনার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্তটা ভাল। ভারতের বিরুদ্ধে মইনের রেকর্ড দুর্দান্ত। বাকি টেস্টেও ইংল্যান্ডের উচিত ওকে আরও বেশি করে ব্যবহার করা। মইন খুব ভাল বল করেছে। তা ছাড়া ওর অভ্যেস আছে বড় উইকেট তোলার। যেমন বিরাট কোহালিকে ও আউট করল।
এই ম্যাচে অমিত মিশ্রর জায়গায় জয়ন্ত যাদবকে খেলিয়েছে ভারত। মিশ্র নিশ্চয়ই খুব হতাশ। বিশেষ করে উইকেট দেখে, উইকেটের টার্ন দেখে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত ওকে বোঝানো যে, ও আবার সুযোগ পাবে। কারণ আমার মনে হয় জয়ন্ত যাদবকে পরিস্থিতি বুঝে টিমে নেওয়া হয়েছে। বিপক্ষে যে হেতু এত জন বাঁ-হাতি রয়েছে, তাই। এখনও পর্যন্ত টেস্টটা যাদবের পক্ষে ভাল গিয়েছে। আশা করি বাকি তিন দিনে ও আরও উন্নতি করবে।
শুক্রবার খেলার শেষে ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। ১০৩ রানে ইংল্যান্ডের পাঁচ উইকেট পড়ে গিয়েছে। সেখানে ভারত ৪৫৫। ভারত শুধু অনেকটা এগিয়ে রয়েছেই বলব না। আমি তো বলব, এই টেস্টটা জিতে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার খুব কাছে চলে এসেছে। (গেমপ্ল্যান)