ফাইল চিত্র।
অনিল কুম্বলেকে কোচ হিসাবে রাখা হবে কি হবে না, শুক্রবার দিনভর এই টানাপড়েনের মধ্যে দিয়েই কেটেছিল। সেই বিতর্ক কিছুটা স্তিমিত করতে সচিন-সৌরভ-লক্ষ্মণদের নিয়ে গঠিত ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি সিদ্ধান্ত নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত ভারতীয় দলের দায়িত্বে থাকবেন কুম্বলে-ই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে ইংল্যান্ড থেকে ভারতীয় দল সোজা রওনা দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আগামী ২০ জুন থেকে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন কোহালিরা। সিরিজ শেষে দল দেশে ফিরবে ১০ জুলাই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এই মুহূর্তে বেশ চাপে টিম কোহালি। পরবর্তী ম্যাচের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, মাঠের বাইরের এই বিতর্কের দ্রুত নিরসন চাইছে অ্যাডভাইসরি কমিটি। যদিও খুব সুচিন্তিত ভাবেই পদক্ষেপ করতে চাইছেন সৌরভরা। এ জন্য কমিটি সময়ও চেয়েছে বিসিসিআইয়ের কাছে। কুম্বলেকে নোটিস দিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টাও বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যাডভাইসরি কমিটির কাছে। তবে এটা কার্যত স্পষ্ট যে, সমর্থনের জল গড়াচ্ছে কুম্বলের দিকেই।
আরও পড়ুন: কোচ নিয়ে প্রহসন, ফের বসবেন সৌরভরা
গত বৃহস্পতিবার রাতে বোর্ড সিইও রাহুল জোহরির সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেন সৌরভ-সচিন-লক্ষ্মণরা। ওই দিন রাতেই বোর্ডের কাছে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আর একটু চিন্তা ভাবনা করার জন্য সময় চেয়ে নেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময় চেয়ে নেওয়ার একটাই কারণ, কুম্বলে-কোহালির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাবে কমিটি। এই পরিস্থিতি দলের পারফরম্যান্সে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে মনে করছেন তাঁরা। কুম্বলে-কোহালির এই ঝামেলা কী ভাবে সামলাবে বোর্ড, সে উত্তর এই মুহূর্তে নেই কারও কাছেই। বিসিসিআই-এর শীর্ষ মহল সূত্রে খবর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন কুম্বলেতে কোনও ভাবেই সরাতে চাইছে না কমিটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফর অল্প সময়ের জন্য। ফলে এই ছোট সফরে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কোহালিকে কিছু সময় দিয়ে নাকি বিষয়টি মানিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আগামী ২৬ জুন বোর্ডের বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান বোর্ডের কার্যকরী সভাপতি সি কে খন্না। এক চিঠিতে বোর্ডের সমস্ত সদস্যকে চিঠি লিখে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঝপথে, এই টুর্নামেন্ট শেষ হতেই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। এই অবস্থায় কি এক জন কোচকে সরানো যুক্তিসঙ্গত?” এই বিতর্কের অবসান চেয়ে বোর্ড সদস্যদের মত, কুম্বলে থাকুক বা নতুন কোচ যে-ই আসুন না কেন ২০১৯-এর বিশ্বকাপ পর্যন্ত যেন রাখা হয়। কেননা এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোচ-ক্যাপ্টেন বিতর্ক যদি ফের মাথাচাড়া দেয়, তা হলে আখেরে দলের ক্ষতিই হবে। তেনমটা হোক তোনও ভাবেই চাইছেন না বোর্ড সদস্যরা।