জোসে মোরিনহো ও পেপ গুয়ার্দিওলা।
ফুটবলবিশ্বে অন্যতম সেরা আকর্ষণ তাঁদের দ্বৈরথ। অথচ ইংল্যান্ডের বাইরে প্রথমবার ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বির আগে আশ্চর্যরকম নির্লিপ্ত দুই চাণক্য— জোসে মোরিনহো ও পেপ গুয়ার্দিওলা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স কাপে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক বৈঠকে ‘দ্য স্পেশ্যাল ওয়ান’ বলেছেন, ‘‘আমি জানি না ওরা কী ভাবে এই ম্যাচটা দেখছে। ওরা হয়তো ডার্বি জিতে এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। কিন্তু আমি মনে করি, এটা ফুটবলারদের নিজেদের উন্নতি করার ম্যাচ। ভুল করে তা শুধরে নেওয়ার ম্যাচ। সতীর্থদের সঙ্গে বোঝাপড়া বাড়ানোর ম্যাচ।’’
ম্যাঞ্চেস্টার ডার্বিকে যে তিনি একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোরিনহো। বলেছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আমরা মেজর লিগের দু’টো দলের বিরুদ্ধে খেলেছি। এ বার ইউরোপের সেরা তিন দল— রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ম্যান সিটি-র বিরুদ্ধে খেলব। তার চেয়ে বেশি কিছু নয়।’’ এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সব সময়ই এই ম্যাচটায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। কিন্তু আমার কাছে এটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ। তাই গোল করলে আনন্দে যেমন লাফিয়ে উঠব না। তেমনই গোল খেলে কান্নায় ভেঙে পড়ব না।’’
আরও পড়ুন: সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ উপভোগ করেন খালিদ
ববি রবসনের সহকারী হিসেবে ১৯৯৬ সালে বার্সেলোনায় ছিলেন মোরিনহো। পেপ তখন জীবনের সেরা ফর্মে। পরবর্তীকালে কোচ হিসেবে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলেও কোনও শত্রুতা নেই বলে দাবি করেছেন মোরিনহো। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘সাধারণ মানুষ যখন আমাদের শত্রুতা নিয়ে চর্চা করেন, আশ্চর্য হয়ে যাই। আমরা তিন বছর একসঙ্গে বার্সেলোনায় ছিলাম। একই ড্রেসিংরুম ব্যবহার করেছি। দলের সাফল্যে একসঙ্গে উৎসব করেছি। ব্যর্থতায় যন্ত্রণাও পেয়েছি।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘পরবর্তীকালে আমি যখন রিয়ালের দায়িত্বে, পেপ তখন বার্সার ম্যানেজার। দুই সেরা দলের মধ্যে যে ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকার কথা, সেটাই ছিল।’’