কর্নেলদের অনুশীলন মোহনবাগান মাঠে। ছবি: উৎপল সরকার
তাঁর বন্ধু আভেস্কাকে মোহনবাগান ছাঁটাই করে দেওয়ায় ক্লাব কর্তাদের উপর ক্ষুব্ধ সনি নর্ডি চাপের খেলা শুরু করেছেন।
এ বার সনির পথেই ইস্টবেঙ্গলের চতুর্থ বিদেশি হিসেবে বেছে নেওয়া বার্নার্ড মেন্ডিও প্রতিদিন নতুন নতুন শর্ত চাপাতে শুরু করলেন। যাতে বিরক্ত লাল-হলুদ কর্তারা। ক্লাব সূত্রের খবর, ফরাসি ডিফেন্ডারের বিষয়ে আর দিন তিনেক অপেক্ষা করা হবে। তার পর অন্য বিদেশি নেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইস্টবেঙ্গল।
বাগান কর্তারা অবশ্য ধীরে চলো নীতিতে এখনও। সোমবার ভারতীয় সময় সকাল থেকে দুপুর ক্লাবের এক শীর্ষকর্তার সঙ্গে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে কথা হয় সনির। হাইতি স্ট্রাইকার নাকি একবারও তাঁর কাছে সবুজ-মেরুনে না আসার কথা বলেননি। তবে নতুন কিছু শর্ত চাপানোর চেষ্টা করেছেন। বাগানের কোনও কর্তা এ ব্যাপারে সে ভাবে মুখ খুলতে চাইছেন না। সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু ফোনে শুধু বললেন, ‘‘আমাদের ক্লাবে সনির খেলার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তবে টিমের ক্ষতি হবে এ রকম কোনও দাবি ও করলে আমাদের পক্ষে রাখা সম্ভব নয়।’’ গভীর রাতের খবর, আবার বাগান-সনি কথা শুরু হয়েছে।
এমনিতে বাগান-সনি প্রাথমিক চুক্তি হয়ে গিয়েছে। সনি এবং তাঁর বান্ধবীর ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও সনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘মেক্সিকোতে আবার খেলার ব্যাপারটা বেশ উত্তেজনার।’’ যা দেখে বাগান কর্তারা বিস্মিত! ব্রাজিলীয় স্টপার লুসিয়ানো সাব্রোসা অবশ্য অনুশীলনই শুরু করে দিয়েছেন। এসে পড়েছেন প্রণয় হালদারও। জেজে আসছেন বুধবার। এই অবস্থায় সনি-ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় বিরক্ত সঞ্জয় সেন। মোহন কোচ বললেন, ‘‘আমি জানি না। কর্তারা বিষয়টা দেখছেন।’’
এ দিকে, আই লিগে প্রথম ম্যাচেই বোঝা গিয়েছে বাগান রক্ষণের অবস্থা খারাপ। সে জন্য সালগাওকরের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে লুসিয়ানোকে খেলানোর কথা মাথায় রেখে হয়তো তাঁকে প্রথম দিনই বল নিয়ে প্র্যাকটিস করিয়েছেন সঞ্জয়। বললেন, ‘‘ফিট আছে বলেই মনে হয়েছে। তবে খেলাব কি না, দু’দিন না গেলে বলা সম্ভব নয়। লুসিয়ানোর অবশ্য দাবি, ‘‘কোচ চাইলে আমি পরের ম্যাচেই খেলতে পারি। আমি প্রস্তুত।’’
এফসি গোয়ার হয়ে আইএসএল খেলার পর দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। তবে নিজেকে ফিট রাখতে সেখানে নিয়মিত প্র্যাকটিস করেছেন বলে দাবি করছেন এই ব্রাজিলিয়ান। মহমেডানে সঞ্জয়ের কোচিংয়ে আগে খেলেছেন লুসিয়ানো। একে অপরকে ভাল চেনেন। লুসিয়ানো বলছেনও, ‘‘আমাদের বোঝাপড়া খুব ভাল হবে। ভাল ফলই হবে।’’