ফের হাতছাড়া ট্রফি। ছবি: এএফপি।
‘আমি যা যা পারি সব করেছি। জাতীয় দলে আমার দিন শেষ। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’
কোপার মাঠ থেকে বিশ্ব ফুটবলকে কাঁদিয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের পর দু’বার কোপা ফাইনালে হার। মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। শুটআউটে আজকের গোল মিসটা যেন তাতে ইন্ধনের কাজ করল। গোলটা মিস করার পর থেকেই ছটফট করছিলেন। মাঠের ভিতর দলের সঙ্গে দাঁড়াতে পারছিলেন না। একা একাই বসেছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে। হয়তো নিজেকে তৈরি করছিলেন এত বড় একটা সিদ্ধান্তের জন্য। দক্ষিণ আমেরিকার এক টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারের সময় যখন জাতীয় দল থেকে অবসর ঘোষণা করলেন তখন তাঁর গলা ভিজে গিয়েছিল কান্নায়।
২৯ বছরের মেসির ঝুলিতে তো রেকর্ডের অন্ত নেই। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে দেশকে বিশ্বের সেরা ট্রফির যে একটাও দিতে পারেননি। এ বার কোপা আমেরিকার শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। দারুণ ছন্দে ছিল পুরো দল। কিন্তু দুর্ভাগ্যটা সঙ্গ ছাড়ল না মেসির। সেই চিলির কাছেই হেরে রানার্স হয়ে থাকতে হল আর্জেন্তিনাকে। দেশের হয়ে এর আগেই পেনাল্টি নিয়েছেন। কিন্তু, কখনও মিস করেননি। এই প্রথম।
২০০৫-এ শুরু করেছিলেন আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। বার্সেলোনার তারকা, বহু সাফল্যের কারিগর মেসি দেশকে কিছু দিতে পারেননি শুনতে হয়েছে সব সময়। ভেবেছিলেন বদলে দেবেন সব ধারণা। কিন্তু, শেষ বেলায় হতাশাই জুটল তাঁর ভাগ্যে। দেশের জার্সি খুলে রাখলেন নিজের ১১৩-তম ম্যাচে। সঙ্গে রয়ে গেল দেশের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড।
আরও পড়ুন
সেই চিলি সেই পেনাল্টি, চোখের জলে মাঠ ছাড়তে হল মেসিদের