ছবি: সংগৃহীত।
জোড়া গোল বলবন্ত সিংহের!
কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফাইনাল তো আজ, রবিবার সন্ধ্যায়।
তা হলে?
শনিবার সকালে টাঙ্গির ড্রিমস বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে মোহনবাগান অনুশীলনে দেবজিৎ মজুমদার হয়ে উঠেছিলেন বেঙ্গালুরু এফসি-র গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ। আনাস এডাথোডিকা ও প্রীতম কোটাল বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডারদের ভূমিকায়। বলবন্ত গোল করার সঙ্গে সঙ্গেই কোচ সঞ্জয় সেনের ধমক— ‘‘এ ভাবে খেললে কিন্তু কর্নেল গ্লেন, সি কে বিনীত-রা গোল করে দেবে। বি সিরিয়াস...!’’
ফেডারেশন কাপ ফাইনালের আগে মোহনবাগানের মহড়ায় পুরোটা জুড়েই বেঙ্গালুরু। প্রায় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমের মধ্যেই ঘণ্টাখানেকের অনুশীলনে হাল্কা ম্যাচ প্র্যাকটিস করান সবুজ-মেরুন কোচ। ডান হাঁটুতে চোট থাকায় একমাত্র এদুয়ার্দো ফেরিরা-ই অনুশীলন করেননি। হাঁটুতে আইসপ্যাক লাগিয়ে বসেছিলেন মাঠের বাইরে। যদিও ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার দাবি করলেন, ‘‘আমার কোনও চোট নেই। কাল খেলব।’’
সকালে অসহ্য গরম। সন্ধ্যায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে স্বস্তি। মোহনবাগানের সনি নর্দে থেকে বেঙ্গালুরুর জন জনসন— ফুটবলাররাও ফুরফুরে মেজাজে। শনিবার ছিল বেঙ্গালুরু স্ট্রাইকার বিনীতের জন্মদিন। ফাইনালে তাঁকে সামলানোর দায়িত্ব থাকবে আনাসের উপরেই। প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার। কিন্তু দুই শিবিরের দুই চাণক্যের কাছেই যেন ফেডারেশন কাপ ফাইনাল হয়ে দাঁড়িয়েছে মরণ-বাঁচন লড়াই।
মোহনবাগান কোচ বললেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া কিছুই ভাবছি না। আমার দলে কোনও চোট-আঘাতের সমস্যা নেই। খুব ভাল প্রস্তুতি হয়েছে।’’ আর বেঙ্গালুরু কোচ আলবের্তো রোকা বললেন, ‘‘আই লিগ জিততে পারিনি আমরা। ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই হতাশা ভোলাই এখন একমাত্র লক্ষ্য আমাদের।’’ তার পরেই অবশ্য যোগ করলেন, ‘‘মোহনবাগানই একটু এগিয়ে থাকবে। কারণ, আমাদের তো আড়াইজন বিদেশি নিয়ে ফাইনালে খেলতে হবে!’’