—ফাইল চিত্র।
আই লিগ হাতছাড়া। তা সত্ত্বেও এ এফ সি কাপে মেজিয়া এফ সি-র সঙ্গে ম্যাচ খেলতে কোচ-সহ প্রথম একাদশের সাত ফুটবলারকে ছাড়াই মলদ্বীপ গেল মোহনবাগান।
ফেড কাপকে পাখির চোখ করছেন সনি নর্দেরা। সে জন্যই না কি ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কটকে ফেড কাপ শুরু হচ্ছে ৭ মে। মোহনবাগানের গ্রুপে রয়েছে বেঙ্গালুরু, লাজং এফ সি এবং ডি এস কে শিবাজিয়ান্স। অন্য দিকে ইস্টবেঙ্গলের গ্রুপে রয়েছে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি। রয়েছে চার্চিল ব্রাদার্স এবং চেন্নাইও।
কোচ সঞ্জয় সেন যাননি অফিসের সমস্যার জন্য। সনি নর্দে, ড্যারেল ডাফি, এদুয়ার্দো পেরিরা, প্রীতম কোটাল, দেবজিৎ মজুমদারদের কারও চোট, কেউ বিশ্রাম চেয়েছেন। সে রকমই দাবি দলের কোচের। মলদ্বীপে বিদেশি বলতে গিয়েছেন শুধু কাতসুমি ইউসা। মেজিয়ার সঙ্গে বুধবার কাতসুমি, কিংশুক দেবনাথরা যখন খেলবেন সে দিনই সকালে নিজেদের মাঠে ফেড কাপের অনুশীলন শুরু করে দেবেন সনিরা।
এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুনার্মেন্টকে দূরে সরিয়ে ফেড কাপকে গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চুনী গোস্বামী কিছুটা সমর্থন জানালেও অন্য পথে হাঁটছেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে সুব্রত ভট্টাচার্য। চুনী বললেন, ‘‘কাজটা মনে হয় অঙ্ক করেই করা হয়েছে। কারণ কোচ-কর্তাদের হয়তো মনে হয়েছে এ এফ সি-তে বেশিদূর এগোনো যাবে না। বরং ফেড কাপে জোর দিলে একটা ট্রফি আসতে পারে। সে জন্যই এই সিদ্ধান্ত।’’ আর সুব্রতর মন্তব্য, ‘‘ফেড কাপ আর এএফসি দু’টোকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। সেটা হলে ভাল হত। আমি কোচ থাকার সময় তাই করেছি। তবে ফুটবলারদেরও বিশ্রাম দরকার। মলদ্বীপের র্যাঙ্কিং খুব একটা ভাল নয়। সে কথা ভেবেই নিশ্চয়ই টিম পাঠানো হয়েছে।’’
অফিসের সমস্যা থাকায় টিমের সঙ্গে যাননি মোহনবাদান কোচ সঞ্জয়। বলে দিলেন, ‘‘এরপর ফেড কাপ আছে। এত ছুটি পাওয়া সম্ভব নয়। সে জন্য মলদ্বীপ যাইনি। ফেড কাপ সামনে। ফুটবলারদের কয়েকজনকে তাই বিশ্রাম দিতে হয়েছে। তবে যারা টিমে আছে তারাও টিমকে জেতাতে পারে।’’ মোট ১৬ জনের টিম গিয়েছে মলদ্বীপে। সহকারী কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে।