সোনি নর্দে।—ফাইল চিত্র।
হাঁটুর চোট তাঁকে ছিটকে দিয়েছে মাঠের বাইরে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আই লিগের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বি খেলতে না পারার হতাশায় নিজেই মোহনবাগান ছাড়তে চেয়েছেন সনি নর্দে। চব্বিশ ঘণ্টা আগেই সবুজ-মেরুন কর্তাদের অনুরোধ করেছেন তাঁর পরিবর্তে নতুন বিদেশি নেওয়ার জন্য। তা সত্ত্বেও রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রধান আকর্ষণ সেই সনি! আর তাঁকে সম্মান জানাতে এ বার অভিনব উদ্যোগ সবুজ-মেরুন সমর্থকদের।
যুবভারতীর গ্যালারিতে সনির মুখোশ পরে ম্যাচ দেখার পরিকল্পনা নিয়েছেন প্রায় কুড়ি হাজার সবুজ-মেরুন সমর্থকের। তবে এই ছবি অবশ্য নতুন নয় ডার্বিতে। মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ সঞ্জয় সেন নির্বাসিত হওয়ার পরে তাঁর মুখোশ পরে গ্যালারিতে ছিলেন সমর্থকরা। সনি নিজেও থাকবেন রবিবার যুবভারতীতে। তাঁর বসার কথা ভিআইপি গ্যালারিতে।
এ দিকে ডার্বিকে কেন্দ্র করে উত্তাপের পারদ ক্রমশ বাড়ছে। টিকিটের চাহিদা অবশ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরই বেশি। গত দু’দিন ধরেই ক্লাব লাল-হলুদ তাঁবুর টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। শনিবার সকালে অনুশীলন দেখতে জলপাইগুড়ি থেকে একদল দর্শক এসেছিলেন বিশাল লাল-হলুদ পতাকা নিয়ে। তবে গত দু’দিনের তুলনায় শনিবার মোহনবাগানে টিকিট বিক্রির হার কিছুটা বেড়েছে। ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আশা, পঞ্চাশ হাজার দর্শক আসবেন মাঠে।
আই লিগের ডার্বি সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর পুলিশও। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের মতোই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা থাকছে। রবিবার যুবভারতীতে প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় নজর রাখা হবে। এ ছাড়াও গ্যালারিতে থাকবেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা। আতসবাজি নিয়ে যাতে কোনও দর্শক মাঠে না ঢুকতে পারে, তার জন্য প্রত্যেকটা গেটেই তল্লাশি চালাবে পুলিশ। স্টেডিয়ামের প্রত্যেকটা গেটে থাকবে ইস্টবেঙ্গলের স্বেচ্ছাসেবকরাও। এ ছাড়াও ম্যাচের পর দর্শকদের যাতে বাড়ি ফিরতে সমস্যা না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত ৬৫টি বাসের ব্যবস্থা থাকবে।