ভরসা: সনির দিকেই তাকিয়ে সবুজ-মেরুন শিবির। ফাইল চিত্র
ফের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি। ফের কান্তিরাভা স্টেডিয়াম। আটচল্লিশ ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে যাচ্ছে শুধু টুর্নামেন্টের নামটাই। আই লিগ শেষ করে এ বার এএফসি কাপ।
এই অবস্থায় মনোভাব বদলে ফেলেছেন সঞ্জয় সেনও। সোমবার সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামার আগে বেঙ্গালুরু থেকে সবুজ-মেরুন কোচ বলে দিলেন,‘‘বেঙ্গালুরুর সঙ্গে ফের খেলতে হবে। কিন্তু এ বার ভাবনা আলাদা। আই লিগে আমরা ম্যাচটা জেতার জন্য মরিয়া ছিলাম। এএফসি-তে কিন্তু অন্য মনোভাব নিয়ে এগোব। জিততে না পারি। হারব না। হাতে তো আরও পাঁচটা ম্যাচ থাকবে। সতর্ক থেকে এগোতে হবে।’’
কোয়ার্টার ফাইনাল গ্রুপ লিগের ম্যাচ। বেঙ্গালুরু ছাড়াও সনি নর্দে-দের খেলতে হবে মায়ানমারের মাজিয়া এফসি এবং ঢাকা মহমেডানের সঙ্গে।
মাত্র দু’দিনের দিনের ব্যবধানে ফের সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে নামছেন সনি-রা। মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরুর মরসুমে তৃতীয়বার মুখোমুখি হবে বন্ধ হয়ে যাওয়া আই লিগ শুরু হলেই। পয়লা এপ্রিল রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে। বারবার দু’দলের এত কম সময়ে মুখোমুখি হওয়া এ দেশের ফুটবলে সাম্প্রতিককালে কমই ঘটেছে। এবং, এই বারবার দেখা হওয়াকে সুবিধাই মনে করছেন সবুজ-মেরুন কোচ। সঞ্জয় বললেন, ‘‘আমাদের দুর্বলতা ওরা জানে। আমরাও ওদের সমস্যা জানি। অজানা প্রতিপক্ষ হলে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে সেটা হবে না। গতবার বেঙ্গালুরু ফাইনালে উঠেছিল। যা কোনও ক্লাব পারেনি।’’ চেনা প্রতিপক্ষ বলেই তাই ঝুঁকি নিতে চাইছে না মোহনবাগান। শনিবার আই লিগে আলবের্তো রোকার টিমের বিরুদ্ধে যে দল খেলেছিল সেই দলে সামান্য পরিবর্তন ঘটাতে পারেন সঞ্জয়। মোহনবাগান কোচ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও ড্যারেল ডাফি এবং বলবন্ত সিংহকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। শনিবার নাকে চোট পাওয়া শিল্টন পাল খেলতে না পারলে তাঁর জায়গায় এই টুর্নামেন্টে অভিষেক ঘটতে পারে টিমের তিন নম্বর কিপার শিরিলরাজ কুনাইলের। অনুশীলন করে ফিরে অবশ্য শিলটন পাল জানালেন, তিনি খেলার জন্য তৈরি। ‘‘এখানে নিয়ে এসেছি তো ১৮ জন। দু’তিনটের বেশি পরিবর্তন করার সুযোগ কোথায়? ইচ্ছে থাকলেও পারছি না,’’ জানালেন সঞ্জয়। তাঁর ইচ্ছে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলা। সে জন্যই সম্ভবত একমাত্র স্ট্রাইকার হিসাবে জেজে-কে সামনে রেখেই খেলার কথা ঘুরছে মোহনবাগান কোচের মাথায়।
আরও পড়ুন: অভিনন্দনের স্রোতে কলকাতায় ফিরলেন ইন্ডিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন চৌরাসিয়া
মোহনবাগান কোচের মতো বেঙ্গালুরু কোচের মুখেও ক্লান্তির কথা। ‘‘নয় দিনে চারটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে আমাদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছেলেরা সেরাটা দেবে আশা করছি।’’ টিমে ফিরছেন বিদেশি স্টপার জন জনসন। সেটা যেমন স্বস্তি দিচ্ছে বেঙ্গালুরুকে। পাশাপাশি সুনীলদের কোচ ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন সার্বিয়ান স্ট্রাইকার উগোভিচকে শুরু থেকেই নামানো হতে পারে ম্যাচ জিততে।