ভারতীয় বোলারদের প্রশংসা নাথান লায়নের মুখে। ফাইল ছবি।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির তৃতীয় টেস্টে জয়ের দোরগোড়ায় বিরাট কোহালির ভারত। অ্যাডিলেড ও পার্থের প্রথম দুই টেস্টের পর সিরিজের ফল আপাতত ১-১। এমসিজি-তে কোহালিরা রবিবার জয় তুলে নিতে পারলে সিরিজে ২-১ এগিয়ে যাবে ভারত। গোটা সিরিজ জুড়েই ভারতীয় বোলাররা বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ওপর কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন। মেলবোর্নেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আর ভারতীয় বোলিং আক্রমণের প্রশংসা শোনা গেল এ বার বিপক্ষ শিবির থেকেও।
শনিবার টেস্টের চতুর্থ দিন ৩৯৯ রানের জয়ের লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু, কোহালির বোলিং তূণের সেরা অস্ত্ররা সকলেই যথাযথ অবদান রাখায় অজি ব্যাটসম্যানরা বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। টিম পেনের দলের তিন জনকে সাজঘরে পাঠান বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা। দুই পেসার জশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ শামি দুটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন। বর্ষীয়ান ইশান্ত শর্মার শিকার একটি।
দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৮ উইকেটে ২৫৮। জয়ের জন্য এখনও দরকার ১৪১ রান। যা কার্যত অসম্ভব এক লক্ষ্য। আর এই কারণেই ভারতীয় বোলারদের প্রশংসায় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মুখর। শুধু প্রাক্তনরাই নন, অস্ট্রেলিয়া দলের এক ক্রিকেটারও ভারতীয় বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন। টিম পেনের দলের হয়ে চলতি সিরিজে প্রায় সব টেস্টেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন যিনি, সেই অফস্পিনার নেথান লায়নও কোহালির দলের বোলারদের পক্ষে গলা ফাটিয়ে গেলেন। ভারতের বোলিং আক্রমণ যে সত্যিই বিশ্বমানের সেটাও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন অজি স্পিনার।
আরও পড়ুন: রবিবার মেলবোর্নে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ, পূর্বাভাস চাপে রাখল কোহালিদের
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর আগে বুমরাকে কী ভাবে খুঁজে পেয়েছিলেন জন রাইট?
লায়নের কথায়, “বিশ্ব মানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে লড়ছি আমরা। এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা ভারতীয় বোলিং।’’ এর পরই নিজের দলের ব্যাটসম্যানদের পক্ষে যুক্তি খাড়া করে লায়ন বলেছেন, “জানি, দলের ব্যাটসম্যানরা বেশ হতাশ। তবে, ওদের পরিশ্রমে কোনও খামতি ছিল না। এটাও নিশ্চিত জানি যে, সাফল্য ওদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে।’’
চলতি সিরিজে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ সাফল্য যাঁর সেই জশপ্রীত বুমরাকে নিয়ে লায়ন বললেন, “ওর গতিটা চমত্কার। তার ওপর স্লোয়ার বলটাও খুব ভাল জায়গায় রাখে। ও সত্যিই বিশ্ব মানের বোলার। অল-রাউন্ড বোলার বলতে যা বোঝায়, বুমরা হল তাই। সাদা বলের ক্রিকেটে আগে ওকে দেখেছি। এখন টেস্ট ক্রিকেটেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের জাত চিনিয়ে দিচ্ছে ও।’’ লায়নের মুখে ভারতীয়দের এহেন প্রশংসা বেশ অবাক করার মতোই। কারণ, অজিরা সাধারণত উল্টোটাই করে থাকেন। তাঁদের মুখে স্লেজিংই বেশি মানায়। সিরিজের মাঝখানে লায়নের এই বক্তব্য সেই কারণেই বিস্মিত করছে ক্রিকেটমহলকে।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)