যে স্পিন অস্ত্রে প্রথম টেস্ট বাজিমাত করেছিল বাংলাদেশ, সেই স্পিন অস্ত্রই দ্বিতীয় টেস্টে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে এল তাদের কাছে। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট তারা হারল সাত উইকেটে। নিউ সাউথ ওয়েলসের ২৯ বছর বয়সি অফস্পিনার নেথান লায়ন প্রায় একার হাতেই হারিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিমদের।
প্রথম ইনিংসে সাত উইকেট নেওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও ছ’উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজ ড্র করে অস্ট্রেলিয়ার মান বাঁচালেন লায়ন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে অল আউট হওয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে হারানোর সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারলেন না বাংলাদেশিরা। বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান প্রথম টেস্ট জেতানোর পরে এই টেস্টে ব্যর্থ হতেই তাঁর দলও মুখ থুবরে পড়ল। দুই ইনিংসে মাত্র দু’টি উইকেট নেন সাকিব। ২৬-এর বেশি রান পাননি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মুশফিকুর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জানতাম ওরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঝাঁপাবে। প্রথম ইনিংসে যখন উইকেট ভাল ছিল, তখনই আমাদের ৩৫০-৪০০ তুলে নেওয়া উচিত ছিল। ওটা না পারায় ম্যাচটা হারতে হল। আমরা জিতি-হারি, এখনও অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে’’।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা সফরে যে রেকর্ডগুলি গড়ল কোহালি অ্যান্ড কোং
লায়নের স্পিনের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ধস নামে, তখন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮৭ রান। যা তুলতে তাদের সাড়ে ১৫ ওভার লাগে। এর মধ্যেই অবশ্য তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলীয়রা। কিন্তু রান এতই কম দরকার ছিল স্মিথদের, যে কোনও চাপই ছিল না। শেষে একটা বিশাল ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিয়ে লায়ন বলেন, ‘‘উইকেটটা স্পিন বোলিংয়ের পক্ষে বেশ ভাল ছিল। এই উইকেটে যে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে টিকে থেকেছে, এটাই ওদের কৃতিত্ব।’’ দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি করা ডেভিড ওয়ার্নার সিরিজ সেরার পুরস্কার পান।