বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেই বাংলাদেশ দলে দেখা নতুন অধিনায়ককে। সাকিব আল হাসানের উপরই শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখল বিসিবি। বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হল সাকিবকে। সহ-অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু এখনও নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেনি বিসিবি। কিন্তু সাকিবদের খেলতে হবে পুরনো কোচের বিরুদ্ধেই।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘আমরা সঠিক কারণ বলতে পারব না অধিনায়ক পরিবর্তনের। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে মুশফিকুর রহিমের চাপমুক্ত হয়ে নিজের খেলায় মনোনিবেশ করা উচিত।’’ বাংলাদেশ শেষ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেখানে সব ফর্ম্যাটেই বেহাল দশা হয়েছিল দলের। সেখানে অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর। দুটো টেস্ট বড় ব্যবধানে(৩৩৩ ও ইনিংস এবং ২৫৪) হারতে হয়েছিল।
এই বছরে ন’টি টেস্টের মধ্যে সাতটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে বাংলাদেশকে। নিউজিল্যান্ডে ২টি, ভারতে ১টি, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি করে ড্র। তার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘ সফর। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময়ই মুশফিকুরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তার মধ্যেই দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দায়িত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু এখনও তাঁর বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়নি। শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি নাম বাছা হয়েছে। খুব দ্রুত নতুন কোচের নাম ঘোষণা হবে।
আরও পড়ুন
৭ উইকেটে হেরে ওয়ান ডে সিরিজ শুরু ভারতের
সবরমতী নদীতে পাওয়া গেল বুমরাহর দাদুর দেহ
সাকিবের কাছে অবশ্য এই দায়িত্ব নতুন নয়। কিন্তু আবার ছ’বছর পর এই দায়িত্ব পেলেন তিনি। আগে ন’টি টেস্টের অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব। ২০০৯এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে অধিনায়কত্বের শুরু। এর পর ২০১০এ সাতটি ও ২০১১তে একটি টেস্ট ম্যাচ সাকিবের নেতৃত্বে খেলে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচই জিতেছিল বাংলাদেশ। বাকি সবই হারতে হয়েছিল। এ বার অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করছেন সাকিব। দেখা যাক তাঁর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা বাংলাদেশ।