ধর্মশালায় ফুরফুরে বাংলা শিবির। সোমবার বার্থডে বয় ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে মেতে ছিল বাংলার ক্রিকেট সংসার। মঙ্গলবার ক্রিকেটে ফেরার সঙ্গে পাহাড়ি সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেরনো। শিবিরকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা আর কী।
এ দিন বিকেলে ম্যাকলিওডগঞ্জে দলাই লামার আশ্রম দেখতে যান মনোজরা। জয়পুরে ম্যাচের পর থেকেই পাহাড়ি অঞ্চলে রয়েছে বাংলা। এতে পাহাড়ি উচ্চতায় খেলে প্লেয়ারদের দম ও পরিশ্রমের ক্ষমতাও বেড়েছে বলে টিম ম্যানেজমেন্টের ধারণা। এই বাড়তি ক্ষমতাটা পরের ম্যাচগুলোয় কাজে লাগবে বলে কোচ সাইরাজ বাহুতুলের বিশ্বাস। এ দিন ম্যাকলিওডগঞ্জে দলাই লামার আশ্রম দেখতে দলের প্রায় সব ক্রিকেটার গেলেও যাননি ঋদ্ধিমান। তিনি হোটেলে থেকে ক্রিকেটেই ফোকাস করতে চান। সকালে আলাদা করে প্র্যাকটিসও করেন ঋদ্ধি। নেট থেকে সরে আলাদা জায়গায় গিয়ে অনেকক্ষণ নকিং করেন বলে জানা যাচ্ছে।
দলের বাকিদের লড়াইটা তো অন্য রকম। দলে যে ছন্দ এসেছে তা ধরে রাখা। সে জন্য মানসিক ভাবে তাজা থাকাটাও জরুরি। মনোজ বলছেন, ‘‘ঋদ্ধিকে এই ম্যাচে পাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য একটা ম্যাচে পুরো পয়েন্ট পেয়েছি। আরও একটা ম্যাচে পুরো পয়েন্ট পেলে নকআউটের দিকে অনেকটা এগিয়ে যাওয়া যাবে।’’
মঙ্গলবার ধর্মশালা স্টেডিয়ামের মূল মাঠে প্র্যাকটিস করেনি বাংলা। শুধু বাইরের প্র্যাকটিস এরিনায় নেট ও নকিং করেন তাঁরা। দলের নিয়মিত বোলারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তাই উইকেটও দেখা হয়নি বলে জানালেন মনোজ। এই মাঠে আগের রঞ্জি ম্যাচে (উত্তরপ্রদেশ-তামিলনাড়ু) হাজারের উপর রান উঠেছিল চার দিনে। এই উইকেটেই আবার ভারত-নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ান ডে হয়। মনোজ বলছেন, ‘‘ওই উইকেটটা পাটা ছিল। আমাদের সম্ভবত অন্য ফ্রেশ উইকেট দেওয়া হবে। শুনলাম এই উইকেটটা বিলাসপুরের মতো লাইভলি হতে পারে। কাল উইকেট না দেখলে অবশ্য সেটা বোঝা যাবে না। তবে যে উইকেটই দিক, আমরা ভাল ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি।’’
বাংলার ভাইদেরও সুদিন: জাতীয় অনূর্ধ্ব ২৩ টুর্নামেন্ট কর্নেল সিকে নায়ডু ট্রফিতে পরপর দু’ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন অভিষেক রমন। বাঁ-হাতি ওপেনার গুজরাতের বিরুদ্ধে ১৬৪ করলেন। আমদাবাদে বিপক্ষের ঘরের মাঠে বাংলা চার দিনের ম্যাচের প্রথম দু’দিন ব্যাট করে ৪৫৫ তুলল। প্রীতম চক্রবর্তী ৬৬, ঋত্বিক রায়চৌধুরী ৬২ ও অরিন্দম ঘোষ ৫০। এ দিনই অনূর্ধ্ব ১৯ চ্যালেঞ্জারে বাংলার দুই ক্রিকেটার সুদীপ ঘরামি ও অঙ্কুর পাল ভারত ‘লাল’ দলে সুযোগ পেলেন। সুদীপ ওপেনার। অঙ্কুর মিডল অর্ডার ব্যাট। তিন দলের টুর্নামেন্ট হবে ২৬-২৯ অক্টোবর, হিমাচলের বিলাসপুরে।